ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ;###;সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হবে ;###;অনির্বাচিত সরকারের কোন সুযোগ নেই

খালেদাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী ॥ বন্ধ করুন মানুষ হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

খালেদাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী ॥ বন্ধ করুন মানুষ হত্যা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাশকতার পথ পরিহার করার জন্য খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, নাশকতা, মানুষ হত্যা, বোমা-গ্রেনেড হামলা, অগ্নিসংযোগ, জানমালের ক্ষতি করা বন্ধ করুন। যে পথে আপনি চলছেন তা জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা আরও হারাবেন। মানুষ নিরাপত্তা চায়, শান্তি ও উন্নয়ন চায়। দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কি কি করতে চান তা মানুষকে জানান। নিজের দলকে গড়ে তুলুন। তাহলেই হয়ত ভবিষ্যতে সম্ভাবনা থাকবে। আমরা অসুস্থ রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। যে রাজনীতি দেশের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য সেই রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বানচাল ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াত পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্রের পাতানো ফাঁদে পা দেননি। তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা ছিল একটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত। তাদের এই রাজনৈতিক ভুলের খেসারত কেন জনগণকে দিতে হবে? আপনার (খালেদা জিয়া) ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে আজ আপনি ও আপনার দল সংসদে নেই। আপনি কাকে দোষ দেবেন? আপনার নিজেকেই দোষ দিতে হবে। তাই নাশকতার পথ পরিহার করে শান্তির পথে আসুন। আজ দেশের মানুষ ভাল আছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। সোমবার ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আবারও অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারী, রাজাকার-আলবদরদের বিচারের কাজ এগিয়ে চলেছে। রায় কার্যকর করা হচ্ছে। ইনশাল্লাহ আমরা সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করব। তিনি বলেন, এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে অন্ধকারের অপশক্তি যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, জনগণের মঙ্গল চায় না- তারা আবারও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছে। দেশবাসীর উদ্দেশে আট পৃষ্ঠাব্যাপী ২৫ মিনিটের প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষায় অনুষ্ঠিত নির্বাচন, নির্বাচন ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী ভয়াল তা-ব, নাশকতা ও মানুষ হত্যার নিষ্ঠুরতা, আগামীতে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা এবং গত ছয় বছরে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নীত করার পদক্ষেপ ও সফলতার বিবরণ সবিস্তারে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বিগত বিএনপি-জোট সরকারের পাঁচ বছরের কর্মকা-ের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন-সফলতার একটি তুলনামূলক চিত্রও দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সাহসের সঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সকল ভোটারসহ দেশবাসীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা শত শত গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে হাজার হাজার গাড়ি। মহাসড়কসহ গ্রামের রাস্তার দু’পাশের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছে। পুলিশ-বিজিবি-আনসার-সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্যকে হত্যা করেছে। তাদের সহিংস হামলা, পেট্রোল বোমা, অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলায় নিহত হয়েছে শত শত নিরীহ মানুষ। নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত জোটের ওই সময়ের নারকীয় তা-বের ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকারী অফিস, বিদ্যুত কেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুটপাথের দোকান এমনকি নিরীহ পশুও বিএনপি-জামায়াত জোটের জিঘাংসার হাত থেকে রেহাই পায়নি। রেহাই পায়নি মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে হাজার হাজার পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দিয়েছে। ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলে এবং ফিসপ্লেট খুলে শত শত বগি এবং রেলইঞ্জিন ধ্বংস করেছে। দেশবাসীর উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নির্বাচনের দিন ৫৮২টি স্কুলে আগুন দিয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারসহ ২৬ জনকে হত্যা করেছে। নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে, আগুন দিয়েছে। সন্ত্রাস, বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগকে উপেক্ষা করে আপনারা (দেশবাসী) ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন, ভোট দিয়েছেন। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রেখেছেন। সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা সংলাপে বসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সব ধরনের ছাড় দিতে চেয়েছিলাম। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আমরা প্রস্তুতও ছিলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে অনির্বাচিত সরকারের কোন ব্যবস্থা নেই। আমাদের শুধু একটাই দাবি ছিল, সংবিধানের মধ্য থেকে আমরা নির্বাচন করতে চাই। সেখানে যত ধরনের ছাড় দেয়া সম্ভব তা দিতেও আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি-জামায়াত জোট চেয়েছিল দেশে একটা অরাজক এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্রের পাতানো ফাঁদে পা দেননি। দেশবাসীর প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর সহযোগিতার ফলে উন্নয়নের যে কাজগুলো আমরা শুরু করেছিলাম, তা সমাপ্ত করতে পারছি। পাশাপাশি নতুন নতুন উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছি। আগামী দিনেও যে কোন ধরনের নাশকতা এবং জঙ্গীবাদী কর্মকা- সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখবেন, দেশবাসীর কাছে আমি সেই অনুরোধ করছি। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছি। এমন এক অবস্থায় আমরা সরকার গঠন করেছিলাম যখন সমগ্র বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং চরম খাদ্যাভাব চলছে। তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পাঁচ বছর বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, দুর্নীতি, জঙ্গীবাদী কার্যক্রম এবং দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দমননীতির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম বিপর্যস্ত ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ছিল। এই পরিস্থিতিতে আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করে সমাজের সকলস্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনি। মানুষের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস সঞ্চার করি। নব উদ্যমে দেশ গড়ার কাজে মানুষকে সম্পৃক্ত করি। এসব কারণে আজ দেশের মানুষ ভাল আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সফলতার চিত্র দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গৃহীত উন্নয়ন ও পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের ফলে গত মেয়াদের পাঁচ বছর এবং এই মেয়াদের প্রথম বছরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিশ্বের সামনে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত রাখার ক্ষেত্রে ২০১৪ সাল বাঙালী জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গত বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যের বছর। বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া পাঁচটি দেশের একটি- বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই আমরা প্রতিবছর ৬ দশমিক ২ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। ২০০৫-০৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলের শেষ বছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯০ ডলারে। ৫ কোটি মানুষ নিম্ন আয়ের স্তর থেকে মধ্য আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের শেষ বছরে দারিদ্র্যের হার ছিল সাড়ে ৪১ শতাংশ, আমরা তা কমিয়ে ২৫ শতাংশে এনেছি। বিদ্যুত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে আমরা বিদ্যুত উৎপাদন রেখে এসেছিলাম ৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে। বিএনপি-জামায়াতের সময়ে তা কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে। এখন আমাদের বিদ্যুত উৎপাদন সক্ষমতা ১৩ হাজার ২৮৩ মেগাওয়াট। তিনি বলেন, যোগাযোগ খাতেও ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ আবারও খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমরা এখন চাল রফতানিও শুরু করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর সরকারের সফলতার চিত্র দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, গত ছয় বছরে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ চালু করেছে সরকার। শুধুমাত্র আইটি সেক্টর থেকে বিদেশ থেকে ১২৩ মিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জাতীয় সংসদকে সকল কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। সামরিক-অসামরিক সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন আবারও দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করি। যার ফলে দেশে দুর্নীতি অনেক কমে গেছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ ছিল বাক-স্বাধীনতা হরণের দেশ, সাংবাদিক নির্যাতনের দেশ। ওই সময় ১৬ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫শ’টি মামলা এবং ৭৫০টি হুমকি-হামলার ঘটনা ঘটে। অনেক সাংবাদিককে গ্রেফতার করে রিমা-ে নির্যাতনও করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মিডিয়া এখন সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার নতুন ৩২টি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছে। সাংবাদিক সহায়তা ভাতা বা অনুদান নীতিমালা অনুযায়ী এক কোটি ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টও প্রতিষ্ঠা করেছি। সিপিএ এবং আইপিইউতে বাংলাদেশ প্রার্থীর বিজয়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুইটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের গণতন্ত্রকামী সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও সুসংহত হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ আইএমএসও, আইটিইউ এবং হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। ইউনেসকো আমাকে ‘শান্তি বৃক্ষ’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করব। ইনশাল্লাহ তার পূর্বেই আমরা সেটা করতে পারব। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছি, ২০৪১ সালের মধ্য বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। ইনশাল্লাহ আমরা এ লক্ষ্যপূরণে সফল হব। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবই ইনশাল্লাহ।
×