ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেনা প্রত্যাহার সময়সীমা পুনর্বিবেচনার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

সেনা প্রত্যাহার সময়সীমা পুনর্বিবেচনার আহ্বান

আফগানিস্তান থেকে অবশিষ্ট বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সীমা পর্যালোচনা করে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি আহমদজাই। মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএসকে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, সময়সীমা এমন কোন বিষয় নয়, যেটা পুনর্বিবেচনা করে দেখা যাবে না। সাক্ষাতকারটি রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে প্রচারিত হয়। খবর বিবিসি অনলাইনের আফগানিস্তানে ১৩ বছরের যুদ্ধ মিশন শেষে সদ্য বিদায়ী ২০১৪ সালের শেষের দিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দেশটিতে এখন ১২ হাজার ৫শ’র মতো মার্কিন সৈন্য রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ২০১৬ সালে তার প্রেসিডেন্সির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অবশিষ্ট সৈন্যদের প্রত্যাহার করে আনবেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী আফগানিস্তান থেকে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য লড়াই শুরু করেছিল। ওই লড়াইয়ে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হলেও তারা একেবারে বিলীন হয়ে যায়নি বরং আফগান ও বহুজাতিক বাহিনীর জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে টিকে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৫০টি দেশ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার সৈন্য তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। বেশিরভাগই ছিল মার্কিন সৈন্য। যে অবশিষ্ট সৈন্য এখন আফগানিস্তানে থেকে যাচ্ছে, তাদের কাজ হবে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তাগুলো দেয়া। সিবিএস সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে গনি বলেছেন, তালেবান যে গতিতে পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করে নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে উঠেছে, তাতে ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তালেবান ইতোমধ্যেই বাদবাকি দখলদার সৈন্যদের হটিয়ে দেশটিতে পূর্ণ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সীমার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখা উচিত। তিনি এই কথাটি ওবামাকে জানিয়েছেন কিনা- এ ব্যাপারে গনিকে জিজ্ঞাসা কর হলে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামা আমাকে চেনেন। আমাদের পরস্পরকে সব কথা বলার দরকার হয় না।’ তিনি বলেন, ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যেভাবে ঘাঁটি গাড়তে পেরেছে আফগানিস্তানে তেমনটি হবে না। তিনি দাবি করেন, আফগানিস্তানে জনগণের আস্থাভাজন একটি সামরিক বাহিনী রয়েছে। তার মতে, এটি দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় অনুষ্ঠান। সেনাবাহিনীকে নিয়ে তার এই যে প্রত্যাশা, এটি এখন থেকে দুই বছর আগেও সম্ভব ছিল না বলে গনি জানান।
×