ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজনৈতিক অস্থিরতায় পুঁজিবাজারে দরপতন

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

রাজনৈতিক অস্থিরতায় পুঁজিবাজারে দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে দেশের পুঁজিবাজার। সোমবার বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কর্মসূচীকে ঘিরে সকাল থেকেই বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছিল। শুরুতে সূচক বাড়লেও শেষটা হয়েছে সূচকের সামান্য পতন দিয়ে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমলেও অপেক্ষাকৃত বড় মূলধনী কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সূচক খুব বেশি কমেনি। তবে প্রাতিষ্ঠানিকসহ ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমার কারণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৩ কোটি টাকার বা ১০ শতাংশ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইতে ২০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ বাজারে ২২৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এর আগে রবিবারে সরকারী ছুটির কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। সোমবারে যথারীতি লেনদেন শুরু হয়। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের সামান্য উর্ধগতি দিয়ে ডিএসইর লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সূচকের পতন ঘটতে থাকে। এক পর্যায়ে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৮ পয়েন্ট কমে যায়। তবে শেষ বিকেলে লেনদেন ও সূচকের কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়। দিনশেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে। তবে প্রধান সূচক কমলেও অন্যান্য সূচক দুটি কিছুটা বেড়েছে। ডিএস-৩০ তালিকাভুক্ত বা শরীয়াহ সূচকের কোম্পানিগুলোর দর বাড়ার কারণেই এই উর্ধগতি। দিনশেষে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৭৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৪৪ পয়েন্টে। টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, গ্রামীণফোন, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, এমজেএলবিডি, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং ডেসকো। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সাইফ পাওয়ার টেক, কোহিনূর কেমিক্যাল, এনভয় টেক্সটাইল, আলহাজ টেক্সটাইল, নদার্ন জুটস, নিটল ইন্স্যুরেন্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সু্যূরেন্স ও পাওয়ার গ্রিড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাহজিবাজার পাওয়ার, প্রগেসিভ লাইফ, প্রগতি লাইফ, প্রাইম লাইফ, ট্রাস্ট ব্যাংক, সায়হাম টেক্সটাইল, ১ম জনতা মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড, শ্যামপুর সুগার ও সাফকো স্পিনিং। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১১৪ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লাফার্জ সুরমা, সাইফ পাওয়ার টেক, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, গ্রামীণফোন, মবিল যমুনা বিডি, বেক্সিমকো ফার্মা, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট এলায়েন্স পোট লিমিটেড, বেক্সিমকো ও ইউনাইটেড এয়ার।
×