ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার ৭ দফা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ ॥ ইনু

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ৪ জানুয়ারি ২০১৫

খালেদার ৭ দফা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ ॥ ইনু

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু শনিবার সিরাজগঞ্জ জেলা জাসদের সম্মেলন উদ্বোধন করে খালেদা জিয়ার ৭ দফা প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার ঘোষিত ৭ দফা দাবির ভেতরে রাজনীতিতে জঙ্গীবাদ ও রাজাকারদের সঙ্গ ছাড়ার কোন ঘোষণা নেই। উনি জঙ্গী-তা-ব, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত কর্মকা-ের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাননি, তওবা করেননি, ভুল স্বীকার করেননি। বরং উল্টো যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গী ও অসৎ সাংবাদিকদের মুক্তির পক্ষে ওকালতি করেছেন। একইসঙ্গে তিনি তাঁর ৭ দফা প্রস্তাবের মাধ্যমে দেশে জঙ্গী ও রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি এবং জঙ্গীবাদ রাজাকারদের উৎসাহিত করছেন। এজন্য তাঁর দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু তিনি এখনও তা চাননি। দুপুরে শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে সিরাজগঞ্জ জেলা জাসদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইনু এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশে ও জনগণের মঙ্গলের জন্য জঙ্গী ও রাজাকারগোষ্ঠীর রাজনীতি পরিহার করবেন এমন ঘোষণা তাঁর দেয়া ৭ দফা প্রস্তাবে দেননি। তাঁর ৭ দফার মাধ্যমে তিনি যা বলেছেন তা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে প্রতীয়মান হয়, তিনি এবং তাঁর নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে এবং গণতন্ত্র নস্যাৎ করার যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তা থেকে তিনি এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামের হলরুমে অনুষ্ঠিত জেলা জাসদের এ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদের সভাপতি আব্দুল হাই তালুকদার। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ খালেদ, কোষাধ্যক্ষ আইয়ুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম শিকদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাট্যাভিনেতা নাদের চৌধুরী, জেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা জাসদের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাহবুব-এ-খোদা টুটুল। এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের সংবিধান সমুন্নত রাখা এবং গণতন্ত্র যেন নস্যাৎ না হয় সেজন্য বেগম খালেদা জিয়াকে জঙ্গীবাদ-রাজাকারদের পথ পরিহার করে আলোচনায় বসতে পারেন। অন্যথায় তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের মতো কোন অবস্থা দেশে সৃষ্টি হয়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন এবং সংবিধানে জঙ্গী ও রাজাকারের রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই।
×