ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা পারে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক নগর

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৪ জানুয়ারি ২০১৫

পদ্মা পারে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক নগর

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা পারে স্বপ্নের ঝিলিক মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। উন্মোচিত হতে শুরু করেছে সম্ভাবনার দ্বার। সেতুর দুই প্রান্তে হংকংয়ের মতো অধুনিক নগরী গড়ে তুলতে সরকার হাতে নিয়েছে মহাপরিকল্পনা। থাকবে বিশ্বমানের অধুনিক স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের মতো বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গড়ে তোলা হবে আধুনিক শিল্প নগরী। পর্যটকদের আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিতে গড়ে তোলা হবে বিশ্বমানের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র। বাদ যাবে না মসজিদ-মাদ্রাসাও। আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার তৈরির মাধ্যমে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাও পদ্মা পারের নগরীতে করার পরিকল্পনা করছে সরকার। আর এ সকল কিছুই হচ্ছে দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা সেতুকে ঘিরে। পদ্মা সেতু এখন আর সরকারের চ্যালেঞ্জ নয়। এই সেতু এখন আর স্বপ্নের সেতুও নয়। পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা রূপ পেয়েছে। সেতুকে ঘিরে দুই প্রান্তে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। আসছে ফেব্রুয়ারিতে মূল সেতুর পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে। তাই সরকারের পরিকল্পনা সেতুকে ঘিরে দুই পারে অধুনিক শহর গড়ে তোলা। এরই ধরাবাহিকতায় সরকারের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান সেনা প্রধান লৌহজংয়ের পদ্মার চর পরিদর্শন করেছেন। সেখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের অলিম্পিক ভিলেজ তৈরি করতে জায়গা নির্বাচন ও এর সম্ভাব্যতা নিয়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। তবে এই অলেম্পিক ভিলেজ ছাড়া আরও বেশি উপযোগী এবং কার্যকরী প্রকল্প নিয়েও ভাবছে সরকার। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল জানান, পদ্মা সেতুকে ঘিরে অনেক সম্ভাবনা হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তবে সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। কোনভাবেই অপকিল্পিতভাবে এখানে কিছু হবে না। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রী এর আগেই ঘোষণা করেছেন- মাওয়ার আশপাশে হবে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মতো বিশ্বমানের শহর। সম্পূর্ণ পরিকল্পিভাবে এটি করা হবে।
×