ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৪ জানুয়ারি ২০১৫

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় ধরনের উত্থানের কারণে উভয় বাজারেই গত সপ্তাহে সূচক বেড়েছে। মূলত বছরের শেষের দিকে এসে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমলেও বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির দর বাড়তে দেখা গেছে। মূলত গত সপ্তাহে সূচক বাড়লেও নতুন সফটওয়্যার চালুর ধকল কাটিয়ে বাজার লেনদেনের গতি পাচ্ছে না। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের উদাসীনতা ও লেনদেনের জটিলতার কারণেই বাজারে লেনদেন ২শ’ কোটি টাকা থেকে ৩শ’ কোটি টাকার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য, হলো বৃহস্পতিবারে ব্যাংকসহ অন্যান্য কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইর নতুন সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১১৮ পয়েন্ট। সেখানে মোট ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ হারে এই সূচক বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুর দিন রবিবারে ডিএসইর এই সূচকের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮২৪ পয়েন্ট। শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে। প্রধান সূচকের মতো সেখানকার নতুন বাছাই সূচকটিও বেড়েছে। মোট ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ হারে ডিএসইর এই বাছাই সূচকটি বেড়েছে। রবিবারে এই সূচকের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৮৭ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪৩ পয়েন্ট। একইভাবে সেখানকার শরীয়াহ সূচকটিও বেড়েছে বেশকিছু। মোট ৩ দশমিক ১০ শতাংশ হারে এই সূচকটি বেড়েছে। রবিবারে সূচকের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৩৮ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবারে তা বেড়ে দঁাঁড়ায় ১ হাজার ১৭৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ মোট ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ হারে এই সূচক বেড়েছে। এদিকে নতুন সফটওয়্যার চালুর পর থেকে ক্রমেই লেনদেন কমছে। মূলত লেনদেনের সমস্যার কারণেই এমনটি ঘটছে। পুরো সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৩৯ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ডিএসইর ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১টির, কমেছে ৫৮টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির দাম। ৪টি প্রতিষ্ঠানের কোন লেনদেন হয়নি। এর বিপরীতে সেখানে লেনদেন হওয়া ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল মাত্র ৮৯টির, কমেছে ১৯৮টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৭টির দাম। ৪টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়নি। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, মবিল যমুনা বিডি, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন লিমিটেড, ডেসকো, অগ্নি সিস্টেম, স্কয়ার ফার্মা, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইনান্স লিমিটেড ও সাইফ পাওয়ার টেক। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো-আলহাজ্ব টেক্সটাইল, প্রাইম ইসলামী লাইফ, বার্জার পেইন্টস, এসিআই ফর্মুলেশন লিমিটেড, দেশ গার্মেন্টস, ফার্মা এইডস, মবিল যমুনা বিডি, সায়হাম কটন লিমিটেড ও এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড, নর্দান জুটস মিলস, প্রগেসিভ লাইফ, কেয়া কসমেটিকস, স্টাইল ক্রাফট, দুলা মিয়া কটন, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড।
×