ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৪ কোটি টাকা হাতিয়ে ॥ সটকে পড়ার পাঁয়তারা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

৪ কোটি টাকা হাতিয়ে ॥ সটকে পড়ার পাঁয়তারা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের প্রাইম এমসিএস লিমিটেড আমানতকারী ও গ্রাহকদের চার কোটি টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে চলেছে। প্রতিদিন গ্রাহকরা ভিড় জমাচ্ছেন তাদের লগ্নি করা টাকা ফেরত নিতে। কিন্তু সংস্থাটি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে নানা টালবাহানা করছে। জানা গেছে, কয়েক বছর আগে যশোরের রাজারহাটের রিয়াজুল ইসলাম রাজু, শার্শার বাগআঁচড়ার আব্দুল জলিল, বিকাশ চন্দ্র মল্লিক, নুরুল ইসলাম, আলমগীরসহ ২০ জনের একটি চক্র প্রাইম এমসিএস লিমিটেড নামে মাাল্টিপারপাস খুলে বসেন। তারা যশোর শহরের আর এন রোডে অফিস ভাড়া নিয়ে নানা তথ্য দিয়ে মাঠে মোটা অঙ্কের লভ্যাংশের প্রলোভন দিয়ে টাকা সংগ্রহ শুরু করে। তাদের ওই প্রলোভনে পড়ে সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ সেখানে টাকা লগ্নি করেন। মাসে এক লাখ টাকায় এক হাজার ৮শ’ টাকা পেতে কেউ জমি জমা, কেউ গাড়ি বাড়ি, আবার কেউ ব্যবসার টাকা, কেউবা পেনশনের টাকা তুলে দেন প্রাইম এমসিএসের কাছে। মোটা অঙ্কের ওই লভ্যাংশের আশায় টাকা লগ্নি করলেও এখন টাকা ফেরত পাচ্ছে না গ্রাহকরা। ছোট বড় আমানতকারীর কাছ থেকে এ চক্রটি হাতিয়ে নেয় তিন কোটি ৬০ লাখ ৬৮ হাজার ৪শ’ ৫৬ টাকা। আর তারা মাঠে ঋণ ছাড়ে মাত্র ২৮ লাখ টাকা। ১০ লাখের উপরে টাকা রেখেছেন এমন লোক রয়েছেন দু’ডজনের মতো। শেষ সম্বল লগ্নি করেছেন এমন অনেকে টাকা ফেরত চেয়ে ওই অফিসে ধর্ণা দিলেও নিষ্ফল হচ্ছেন। এদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ঘোরাচ্ছে এরা। অথচ টাকা নেয়ার সময় নানা বুলি আওড়িয়েছিল। এখন তারা মূল টাকা বা লভ্যাংশ কিছুই দিচ্ছে না। যশোর অঞ্চলের আমানতকারীদের বক্তব্য, তারা টাকা লগ্নি করেছিল রিয়াজুল ইসলাম রাজু, আব্দুল জলিল, রমেন্দ্রনাথসহ কমিটির অনেককে দেখে। এখন কমিটির লোকজনের মোবাইল বন্ধ। তাহলে তারা কোথায় যাবে। ছয় সদস্যের কমিটির অনেকে এখন মোবাইল সিম পরিবর্তন করেছে। এদিকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে ওই অফিসে গেলে পাঁচ/সাত জন গ্রাহককে দেখা যায় টাকার জন্য হট্টগোল করতে। এদের মধ্যে বারান্দিপাড়ার রোকসানা, লিপু খান, আছিয়া, ধর্মতলার ঠিকাদার আব্দুল খালেক জানান, তাদের টাকা দেয়ার কয়েকটি তারিখ দিয়েও প্রতারণা করা হচ্ছে। এখন সটকে পড়ার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে রিয়াজুল ইসলাম রাজুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। প্রাইম এমসিএসের ব্যবস্থাপক রমেন্দ্রনাথের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গ্রাহকদের টাকা বিভিন্ন স্থানে লগ্নি করা আছে। গ্রাহকদের সব টাকা পরিশোধ করে দেয়া হবে। তবে কবে পরিশোধ করা হবে তা তিনি জানাতে পারেননি।
×