ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গিলে খাচ্ছে বালু ও তুরাগ নদী

প্রকাশিত: ০৫:০২, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

গিলে খাচ্ছে বালু ও তুরাগ নদী

পিলার স্থাপন সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে নদীর, সংখ্যা অনুযায়ী তীর ভূমি সংরক্ষণ করে নদীর সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়নি। তুরাগ ও বালু নদীর বিভিন্ন স্থান এতই সংকীর্ণ যে নিরাপদে নৌপরিবহনের কোন নিশ্চয়তা নেই। এজন্য নৌপথকে সর্বনিম্ন ১০০ মিটার প্রশস্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রয়োজনে বালু ও তুরাগ নদীর যেসব স্থান বেশি সরু, সেখানে জমি অধিগ্রহণ করে হলেও নদীকে প্রশস্ত করতে হবে। ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথের অবস্থা এমন হয়েছে যে, দখলদারদের কাছ থেকে উল্টো জমি কিনে নিয়ে নদী বাঁচানো জরুরি। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দীর্ঘদিন থেকে অবহেলা করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গাই মাত্র ১০০ মিটারের চেয়েও কম প্রশস্ত বালু ও তুরাগ নদী। অথচ বিগত ২০ বছর ধরে নদী বাঁচাও নামে আন্দোলন করে আসছে অনেক সংগঠন। সরকারের পালা বদলের খেলায় দখলকারীরা একটু নড়ে-চড়ে বসেন মাত্র। প্রভাবশালীরাই মূলত নদীর ওপর জবর দখল করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দখলদার ক্ষমতাধর অথবা প্রভাবশালী হলেও এই উচ্ছেদের আওতায় পড়বেন। নদীর দখল ও দূষণ রোধ করার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে ওইসব সংস্থা সারা বছর ধরে কি করছে? তাদের কাজটাই বা কি? কেবল মাত্র দেশের সরকার প্রধান এ ক্ষেত্রে কোন কথা না বললে অথবা আদেশ না দিলে তারা কিছুই করতে পারে না। নাকি দখলকারীরাও সরকারের প্রভাবশালী নেতাকর্মী বলে তারা ভয় পায়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রফিউর আলমকে আহ্বায়ক করে গঠিত ১০ সদেস্যর কমিটি তাদের সুপারিশে বলেছেন, জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিআইডব্লিউটি এর সমন্বয়ে যৌথ পরিদর্শন টিম গঠন করে অন্তত মাসে একবার পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে দেশের প্রাণ গুরুত্বপূর্ণ নদী রক্ষায় সরকার গঠিত কমিশনের কাছে প্রতিবেদন প্রদান করতে হবে। সীমানা পিলার ঠিকমতো না স্থাপন করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ না করার জন্যও সুপারিশ করেছে এই কমিটি। তারা বলেছেন, সীমানা পিলার না বসিয়ে যেসব ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে তা স্থগিত করতে হবে। নজরুল ইসলাম লিখন [email protected]
×