ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ৬০ বছর

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ৬০ বছর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের মূলকেন্দ্র কোনটি? সবাই উত্তর দেবেনÑ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। ঠিক তাই। ১ জানুয়ারি ছিল এই ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামের ৬০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি পাকিস্তান-ভারত টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু এই স্টেডিয়ামটি আগে ১ নম্বর জাতীয় স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে এটির নামে ‘বন্ধবন্ধু’ যোগ করা হয়। স্টেডিয়ামটির মালিকানা হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। আগে এই স্টেডিয়ামে সব ধরনের খেলাই অনুষ্ঠিত হতো। বর্তমানে এখানে কেবল ফুটবল খেলা হচ্ছে। মাঠটির চারদিকে বসানো আছে এ্যাথলেটিক ট্র্যাকও। ফলে এ্যাথলেটিক্সও অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক বছর আগে স্টেডিয়ামের সংস্কার করার পর এর ধারণক্ষমতা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজারে। এটি বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম, যেখানে দুটি ভিন্ন দেশের উদ্বোধনী টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দুটি খেলাতেই প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। প্রথমটির কথা শুরুতেই বলা হয়েছে। ২৬ জুন, ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ তাদের অভিষেক টেস্টে ভারতের মোকাবেলা করে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এ স্টেডিয়াম ও সংলগ্ন মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকায় এত বেশি লোকসমাগম হয় যে, একে স্টেডিয়াম হিসেবে চেনা মুশকিল হয়ে পড়ে। এর একটি মূল কারণ স্টেডিয়ামের নিচ তলা ইলেক্ট্রনিক পণ্যের মার্কেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মিরপুরে একটি নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের কারণে ২০০৪-০৫ মৌসুমে মাঠটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে বরাদ্দ দেয়া হয়। এখানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আইসিসি বিশ্বকাপ, আর্জেন্টিনা-নাইজিরিয়া জাতীয় ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচসহ অসংখ্য ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই স্টেডিয়ামেই খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান সভাপতি ও জীবন্ত কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী মোঃ সালাউদ্দিন।
×