ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইএসবিরোধী লড়াইয়ে মার্কিন টার্গেট মনস্তত্ত্ব

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

আইএসবিরোধী লড়াইয়ে মার্কিন টার্গেট মনস্তত্ত্ব

ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গী দমনে এবার তাদের মনস্তত্ত্ব টার্গেট করে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক স্পেশাল অপারেশন ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল মাইকেল কে নাগাটা এ বিষয়ে মার্কিন সেনাদের সহায়তার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ক্রমেই মধ্যপ্রাচ্যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে আইএস। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনের। মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া জঙ্গী সংগঠন আইএসকে নির্মূলে এখন জোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য জেনারেল নাগাটা পেন্টাগনের অন্যান্য বিশেষজ্ঞের সহায়তায় পররাষ্ট্র এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে নতুন নতুন আইডিয়া বের করার চেষ্টা করছেন। আর মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপকরা আইএসে তরুণ যুবকদের দলে ভেড়ানো এবং তাদের আদর্শ প্রচারের কৌশল নিয়ে পর্যালোচনা করছে। এ বিষয়ে এক কনফারেন্স কলে নাগাটা বলেন, আমরা আইএসের এই কর্মকা-ের প্রকৃত কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। আবার আমরা তাদের পরাজিতও করতে চাচ্ছি না। আমরা আসলে আইসিসের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী এ বিষয়ে এখনও তেমন ওয়াকিবহাল হতে পারি নাই। পরে আইসিস নিয়ে নাগাটার এ হতাশার কথা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে শেয়ার করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ দেশটির অন্যান্য বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, ইরাকী সেনাদের সহায়তায় আইএস জঙ্গীদের ওপর পরিচালিত হামলায় আইএসের অগ্রযাত্রাকে থামানো গেছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তার মত হলো আইএসকে আদর্শিকভাবে ঘায়েল করতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে এই জঙ্গীগোষ্ঠীকে সমূলে উৎখাত করা যায়। আইএসের বিরুদ্ধে লড়তে সিরীয় বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দিতে গত চার মাস আগে মেজর জেনারেল মাইকেল কে নাগাটাকে নিয়োগ দেন ওবামা। নাগাটাকে মার্কিন সেনাবাহিনীর উদীয়মান তারকা ভাবা হচ্ছে। এ নিয়োগের আগে দীর্ঘ অন্যান্য জেনারেলদের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ করেন ওবামা। চলতি মাসে এক সংক্ষিপ্ত ই-মেল বার্তায় নাগাটা বলেন, আমি এখন আইএস নিয়ে সকল প্রশ্ন নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। আর বিষয়টি ঠিক কিভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। গত আগস্ট এবং অক্টোবরে জেনারেল নাগাটার সঙ্গে আরও অন্তত ৩ ডজন বিশেষজ্ঞ এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের সঙ্গে কিভাবে যুদ্ধ করা যায় সেটাই ছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়। এ বিষয়টিই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল। আলোচনায় আইএস জঙ্গীদের প্রকৃত সক্ষমতা ও লোকবল নিয়ে আলোচনা হয়। উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, আইএস যোদ্ধার সংখ্যা এবং অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন। তারা আইএসের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। যে কৌশল ব্যবহার করে আইএস যোদ্ধারা লোক সংগ্রহ করে থাকে।
×