স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ খেলাধুলার মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি শিশুদের শিক্ষা এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার একটি সংগঠনের নাম হলো রাইট টু প্লে। আর এই সংগঠনের বৈশ্বিক শুভেচ্ছাদূত হলেন চেক প্রজাতন্ত্রের টেনিস তারকা পেত্রা কেভিতোভা। বুধবার হংকংয়ে এই ঘোষণাটি করা হয়। চেক টেনিস তারকা কেভিতোভা বর্তমানে হংকংয়ে অবস্থান করছেন। এখানে তিনি অনুশীলন করছেন। কারণ এখানে সেনজিন ওপেনে খেলবেন বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের চার নাম্বার এই তারকা।
রাইট টু প্লে’র শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত পেত্রা কেভিতোভা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাইট টু প্লে’র বৈশ্বিক ক্রীড়া দূত হতে পেরে আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। এটা এমন একটা দাতব্য কাজ যা আমি মনে-প্রাণেই বিশ্বাস করি। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শেখাতে আমারও মনও চায়। আর রাইট টু প্লে আমাকে তেমনই একটা সুযোগ করে দিল। যার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি।’
দেড় দশক আগে রাইট টু প্লে নামক সংগঠনটির জন্ম। ২০১০ সালে যার হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় তিনি হলেন স্পিড স্ক্যাটিংয়ের সেরা তারকা জোহান কোস। স্পিড স্ক্যাটিংয়ে চারবার অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়ের মাইলফলকও তার দখলে। কেভিতোভাকে তাদের দলে যুক্ত করতে পেরে দারুণ আনন্দিত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সিইও জোহান কোস। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পেত্রা কেভিতোভা একজন বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ। আর তার মতো কাউকে আমাদের দলে যুক্ত করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। তিনি বর্তমান টেনিস বিশ্বের একজন সেরা তারকা। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। শিশুদের জন্য তার সাফল্য আমাদের কাজেও অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
২০১১ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন পেত্রা কেভিতোভা। এরপর মাঝে অনেকটা সময়ই নিষ্প্রভ কেটেছে তার। সদ্যই গত হওয়া মৌসুমে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডসøাম জয়ের স্বাদ পান তিনি। তবে নতুন মৌসুমে আরও বেশি সাফল্যের দেখা পেতে মরিয়া এই চেক তারা। এ জন্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডসøাম এবং ফেড কাপকে শিরোপা উপহার দেয়ার মুহূর্তগুলোই তাকে অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে ২৪ বছর বয়সী পেত্রা কেভিতোভা বলেন, ‘২০১৪ সালের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো যখন স্মরণ করি তখন খুবই ভাল লাগে। সেনজিন ওপেনে যখন আমি প্রথমবারের মতো বলে হিট করব তখন এটা হবে নতুন মৌসুম।
সেই সঙ্গে নতুন চ্যালেঞ্জও।’
নতুন মৌসুমে গ্র্যান্ডসøাম জয়ের পাশাপাশি টেনিস র্যাঙ্কিংও উন্নতি করতে চান চেক টেনিস তারকা কেভিতোভা। সেজন্য নিজের ফিটনেসের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে কেভিতোভার অভিমত হলো, ‘দীর্ঘ সময়ের ফিটনেসের উপর গুরুত্ব দিতে হবে আমাকে। যখনই আমি অনুভব করি যে আমার কী কী উন্নতি করা প্রয়োজন। তখনই মনে হয় আমার ফিটনেস এবং মোভমেন্টের উন্নতি দরকার। তবে এ জন্য প্রাক-মৌসুম সময়টা দারুণ কাজ করেছি আমি। আশা করি এই সময়টাই আমাকে ২০১৫ সালের পার্থক্য গড়ে দেবে। বিশেষ করে মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই আমার সেরাটা দেখাতে চাই। এবার গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টগুলোতে পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতাও ধরে রাখতে চাই। আর যদি সেটা সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই একদিন আমি বিশ্ব টেনিসের সেরা খেলোয়াড় হতে পারব।’
শীর্ষ সংবাদ: