ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আতশবাজি ফুটিয়ে ফানুস উড়িয়ে নেচে গেয়ে বর্ষবরণ

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২ জানুয়ারি ২০১৫

আতশবাজি ফুটিয়ে ফানুস উড়িয়ে নেচে গেয়ে বর্ষবরণ

স্টাফ রিপোটার ॥ ফুল দিয়ে প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা, কার্ড বিনিময় আর পারস্পরিক অভিনন্দনের মধ্য দিয়ে দেশে পথচলা শুরু হয়েছে খ্রিস্টীয় নতুন বছরের। নতুন বছর ২০১৫কে স্বাগত জানাতে বাঙালীদের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল না। তাই রাত ১২টা ১ মিনিট বাজতেই পাড়া মহল্লা পটকা ও আতশবাজির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে। নারী- পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে সবাই। তবে প্রশাসনের কড়াকড়িতে প্রথম প্রহরে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা ছিল অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। তবে কারও মধ্যে উচ্ছ্বাসের এতটুকু কমতি ছিল না। রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলো ছিল উৎসবে মাতোয়ারা। এছাড়া ঢাকার বাইরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ছিল হাজার হাজার মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন শোভা পাচ্ছে নতুন বর্ষপরিক্রমা। বছরের গ্লানি মুছে ২০১৪ আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছে। অতীতের স্মৃতি মুছে নতুন বছরে নতুন করে পথ চলার প্রত্যাশা সবার মাঝেই। বছরের প্রথম দিনেই তাই একে অপরকে স্বাগত জানাতে ভুল করেনি। অফিস আদালত, পাড়া মহল্লায় দেখা গেছে একই চিত্র। একে অপরকে ‘শুভ নববর্ষ’ বলে স্বাগত জানাতে ভুল করেনি। এছাড়াও অফিস আদালতে সহকর্মীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কোলাকুলি করেও নতুন বছরকে স্বাগত জানায় সবাই। এদিকে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রাজধানী জুড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নববর্ষে যাতে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশের সতর্ক পাহারা। চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চলে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্পষ্টগুলোয় জমায়েত না হওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই আহ্বান জানানো হয়। রাজধানীর হাতিরঝিলে রাত আটটার পরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এছাড়া শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাইরের কারও প্রবেশেও ছিল কড়াকড়ি। অনেকটা নিয়ন্ত্রিতভাবে রাজধানীতে নববর্ষ পালিত হয়েছে। তবে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঠিকই জনগণকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সংস্কৃতি নিজস্ব না হলেও বিশ্বায়নের কারণে খ্রিস্টীয় নববর্ষ এখন সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়ে থাকে। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাঙালীও এ আনন্দ উচ্ছ্বাসে অংশ নেয়। প্রথম প্রহরে রাত বারোটা এক মিনিট থেকে শুরু হয় নববর্ষ পালন। ১ জানুয়ারি সারাদিনই এর রেশ ছিল। রাতে আতশবাজি আর পটকা ফোটানোর মধ্যে দিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানালেও সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে মোবাইলফোনের ক্ষুদে বার্তায়। প্রথম প্রহরেই ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে নতুন বছরের স্বাগত জানায়। কক্সবাজারের হোটেল মোটেলগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোকসজ্জায় এগুলোকে সজ্জিত করা হয়। আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ইনডোর অনুষ্ঠানেরও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসটি এলাকায় কাউকে দেখা যায় আতশবাজি ফোটাতে, ফানুস ওড়াতে, নেচে-গেয়ে, অনেকেই হাজির ছিল ঢোল আর খোল-জুরি নিয়ে। শুধু টিএসসি নয়, ক্যাম্পাসজুড়েই বছর শুরুর প্রথম প্রহরে তারুণ্যের উচ্ছলতা দেখা যায়।
×