ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্ধশত প্রাইমারী স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২ জানুয়ারি ২০১৫

অর্ধশত প্রাইমারী স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ মাদারীপুর ৩ উপজেলায় প্রায় অর্ধশত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয় ভবনে প্লাস্টার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়ার পরও কিছু কিছু ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নতুন ভবন নির্মাণ না করায় পরিত্যক্ত ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে। কোথাও কোথাও বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। এসব বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় এবং পাঠদানের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় রোদ-বৃষ্টি-ঝরে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ করে ছুটি দিয়ে দিতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার প্রায় অর্ধশত বছর আগে নির্মিত সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের এওজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি পুনর্নির্মাণ বা নতুন ভবন তৈরি না হওয়ায় এটি এখন সংস্কারেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১২ সালের জুন মাসে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই অবস্থা সদর উপজেলার পশ্চিম কুচিয়ামোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটির। অর্ধশত বছর পূর্বে নির্মিত এ বিদ্যালয় ভবনটি পুনর্নির্মাণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিদ্যালয় ভবনটি ২০১২ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই উপজেলার ৬৮নং দক্ষিণ বিরঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি ১৯৬৫ সালে নির্মিত হয়। এই ভবনটিও ২০১৩ সালের মার্চ মাসে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ’৯০-এর দশকে নির্মিত চর গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১৯৯৬), বাহাদুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১৯৯০), উত্তর ব্রাহ্মণদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১৯৯৬), চৌহদ্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৯০), উত্তর বড় বাড্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১৯৯৪), বড় মেহের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১৯৯৬), উত্তর ঝিকরহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১৯৯৬), কুন্তিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১৯৯৫) মধ্য ঝাউদী মুন্সীকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১৯৯৩)। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সালে নির্মিত এসব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবন যথাযথভাবে নির্মিত না হওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার বা সংরক্ষণের অভাবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। এমন অনেক বিদ্যালয় ভবন সংস্কার না করায় বর্তমানে ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় টিনশেড ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিবচর উপজেলায় এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কোন বিদ্যালয় ভবন নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। পাবনায় পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ আহত ১০ নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১ জানুয়ারি ॥ বেড়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে যুবদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবদল ও বিএনপির ৪ জনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বেড়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একটি র‌্যালি থেকে বাজারে ঝোলানো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুুন ছিঁড়তে থাকলে আওয়ামী লীগের লোকজন ধাওয়া করে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষপ করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলে বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, পৌর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনকে আটক করে। এ ব্যাপারে বেড়া থানায় মামলা হয়েছে।
×