ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে ২৬ লাখ বই

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২ জানুয়ারি ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে ২৬ লাখ বই

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ জেলার ছয়টি উপজেলায় বৃহস্পতিবার বিনামূল্যে প্রায় ২৬ লাখ পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী নতুন বই পেয়ে বেজায় খুশি। বিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজী নববর্ষে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এই আনন্দে শরিক হচ্ছেন অভিভাবকরাও। শহরের পুরাতন কাচারি মুন্সীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুপুরে জেলা পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বই বিতরণ উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস এমপি। জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। লালমনিরহাটে দুর্গম তিস্তার চরেও পৌছে গেছে নতুন বই নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১ জানুয়ারি ॥ জেলার দুর্গম তিস্তার চরের স্কুলেও নতুন বছরের প্রথম দিনেই পৌঁছে গেছে বই। শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে হাসি মুখে বাড়ি ফিরে গেছে। জামায়াত-বিএনপির হরতাল শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। নতুন বই পেয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে শিক্ষার্থীরা। ফসলের জমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরে গেছে। হরতালেও বই উৎসবকে আনন্দ মুখর করতে লালমনিরহাটে শিশু শিক্ষার্থীরা সকালে আনন্দ র‌্যালী করেছে। শিশু শিক্ষার্থীদের এই আনন্দ র‌্যালী শহরের মিশনমোড় হয়ে শহরের কয়েকটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিশন মোড়ে বিরতি দেয়। পরে শিশু শিক্ষার্থীরা নতুন বই নিয়ে যার যার বাড়ি ফিরে যায়। চট্টগ্রামে স্কুলে স্কুলে বই উৎসব স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বছরের প্রথম দিনে চট্টগ্রামের স্কুলে স্কুলে বই উৎসবে মেতে ওঠে কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। নতুন বই পাওয়ার কি যে আনন্দ তা শিশুদের চেহারায় ফুটে ওঠে। নগরী ও জেলার প্রায় প্রতিটি স্কুলেই বৃহস্পতিবার ছিল এই চিত্র। স্কুল থেকে নতুন বই নিয়ে মনের আনন্দে ঘরমুখো হয় শিশু কিশোররা। চট্টগ্রামে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক আয়োজন ছিল নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। এছাড়া প্রত্যেকটি উপজেলায় ছিল এই আয়োজন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউএনওসহ সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে এ উৎসব উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হরতাল থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। বিশেষ করে শহরের বাইরে মফস্বলের স্কুলগুলোতে বই পাঠানো সম্ভব হলেও আনন্দ আয়োজনে ঘাটতি হয়ে থাকতে পারে। তা না হলে প্রতিটি স্কুলে আরও উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ করা যেত। তবে আনুষ্ঠানিক আড়ম্বরতা না থাকলেও প্রতিকূলতার মাঝেও সকল স্কুলে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে বলে তিনি জানান।
×