ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মানবেতর জীবনযাপন

রাঙ্গাবালি চরলতা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২ জানুয়ারি ২০১৫

রাঙ্গাবালি চরলতা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেহাল দশা

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চরলতা আশ্রয়ণ প্রকল্পে গত এক যুগেও উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। প্রকল্পের ব্যারাকগুলোর অধিকাংশ ঘর এরই মধ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দরজা নেই। জানালা নেই। বেড়া-টিনের চাল খুলে পড়ছে। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো নেই পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ। তারওপর প্রকল্পে বসবাসরতদের নেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। নেই শিক্ষা, যোগাযোগ, বিনোদনসহ সাধারণ জীবনযাপনের ন্যূনতম সুবিধা। ফলে এখানকার লোকজন চরম মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এ সবের অভাবে তাই কেউ কেউ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। চারদিকে নদী ও সাগরবেষ্টিত মূলভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপ চরটিতে ১৯৮১ সালে প্রথম পর্যায়ে ৯টি ব্যারাকে ৯০টি এবং ১৯৮৩ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮টি ব্যারাকে ৮০টি মোট ১৭০টি উদ্বাস্তু ছিন্নমূল পরিবারকে ঘরের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়। শুরুতে এসব পরিবারের লোকজনদের প্রধানত চরের খাসজমি বন্দোবস্ত ও মাছচাষের মাধ্যমে কর্মসংস্থানসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সব আশ্বাস হারিয়ে যায়। উপরন্তু আশ্রয়ণবাসীদের সিডর-আইলার মতো প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে সবকিছু হারাতে হয়েছে এবং এখনও নিত্য নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তারওপর নির্মাণের পর থেকে প্রকল্পের ঘরগুলো উন্নয়নে নেয়া হয়নি কোন ধরনের উদ্যোগ। সরেজমিন ঘুরে দেখার সময়ে এখানে বসবাসরতরা তুলে ধরেছেন তাদের নানা দুঃখ দুর্দশার চিত্র। সবুজ পাহাড়ে মিনি গার্মেন্টস সবুজ পাহাড়ে মিনি গার্মেন্টস সৃষ্টিতে তাঁতের সাথে চলবে সেলাই মেশিন। চারদিকে পাহাড়। সবুজ আর সবুজ। আর এ সবুজ স্থানটি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মধুপুর চা-বাগান ঘেঁষা বন বিভাগের পুটিজুড়ি বনবিট এলাকায়। নাম কালিগজিয়া। এর ভেতরে আদিবাসীদের বসবাস। তাদের এ বসবাসের স্থানটিকে বলা হয় ত্রিপুরাপুঞ্জি। যুগ যুগ ধরে এ পুঞ্জিতে অর্ধশতাধিক পরিবার বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করছে। পুঞ্জির অনেক পুরুষ নানা ফসলের চাষাবাদে জড়িত। নারীরাও বসে নেই। তারা তাঁত ও সেলাই মেশিন দিয়ে কেউ কেউ তৈরি করছে বাটিক শাড়ি আবার কেউ অন্য জামা-কাপড়। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে তাঁতের পাশাপাশি ৫টি সেলাই মেশিন ও ৮০ হাজার টাকা ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী। ১৫ দিনব্যাপী পুঞ্জির নিকটবর্তী কালিগজিয়া স্কুলে পুঞ্জির আদিবাসী ২০ নারীকে নিয়ে সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। -বিজ্ঞপ্তি
×