অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্ববাজারে পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য কমলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না। ফলে দেশে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা। এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে বাজারে অসাধু সংঘবদ্ধ ব্যবসায়ী বা সিন্ডিকেট রোধে প্রতিযোগিতামূলক আইন যথাযথ প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে কনজুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। বুধবার গণমাধ্যমে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া বেড়েছে গড়ে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বাসা ভাড়া সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বস্তি এলাকায় ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ফ্ল্যাট বাসায় ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। নিয়মনীতি ও বিদ্যমান আইনকানুনকে বাড়িওয়ালারা সচরাচর তোয়াক্কা করেন না। প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাসা ভাড়া। এর সঙ্গে বাড়ছে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের অসহায় ভোক্তাদের নাভিস্বাসও।
সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা সরকারের নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রী বহন করতে চায় না। একই দূরত্বে ইচ্ছামতো একেক যাত্রীর কাছ থেকে একেক ভাড়া দাবি করে থাকেন। এ খাতে বরাবরের মতো বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে।
অতীতের মতোই স্বাস্থ্য খাতে সেবার মান ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও ব্যয়বহুল। ডাক্তারের ফি ছিল নিয়ন্ত্রণহীন। ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট প্রদানের এবং মানহীন টেস্ট, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের অভিযোগ বরাবরই উঠছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তবে ঝরে পড়ার হার এবং শিক্ষার মান এখনও দুশ্চিন্তার কারণ। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বেতন ও নানা ধরনের ফি অতিরিক্ত গ্রহণ অতীতের মতোই অভিভাবকদের জন্য বাড়তি বোঝার কারণ ছিল।
এসব পরিস্থিতি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে ক্যাব। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বাস্তবতার বিভিত্তিতে টিসিবিকে কার্যকর করা, গণপরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে আনা এবং দ্রব্যমূল্য জনগণের হাতের নাগালে রাখতে ন্যাশনাল প্রাইস কমিশন গঠন করা ইত্যাদি।