ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে তদন্ত শুরু

মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ১ জানুয়ারি ২০১৫

মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদেও সেই আলোচিত চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুস সালামের বিরুদ্ধে সড়ক সংস্কার না করেই টি. আর প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য ওই প্রকল্প চেয়ারম্যান সায়রা বেগম লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক ও বন্দর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বাক্ষর ও টিপসহি জাল করে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান সালামের বিরুদ্ধে অন্য ইউপি সদস্যদের নামে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গায়রা বেগম আরও জানান, অভিযোগ দেয়ার পরে গত বুধবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইউপি কার্যালয়ে এসেছিলেন। তবে ওইদিন সালাম চেয়ারম্যান ও তার পক্ষেও লোকজন জোরপূর্বক আমাকে উল্টো স্বাক্ষর দেয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। ওই প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত ছাড়াও গত ৩ মাস ধরে তাকে কোন কাজ দিচ্ছে না। তাকে পরিষদে যেতে দিচ্ছে না এবং তাকে হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মদনপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম মনা জানান, পূর্ব ফুলহর এলজিইডি রাস্তা থেকে এরশাদ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্পটি আমার নামে বরাদ্দ হলেও সেই কাজটি আমাকে দেয়া হয়নি। ওই প্রকল্পটি তার পছন্দের এক ব্যক্তিকে দিয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান সালাম। এর আগে আরো দু’টি প্রকল্পের কাজের বরাদ্দ আমার নামে হলেও চেয়ারম্যান সালাম অন্য লোককে দিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, বরাদ্দ দেয়ার দায়িত্ব আমার। ওরা কাজ শেষ করে আমাকে বুঝিয়ে দিবে। প্রকল্প দেখার দায়িত্ব পিআই সেকশনের। কারও স্বাক্ষর জালিয়াতি হয়েছে কিনা সে বিষয়টি দেখবে পিআই সেকশন। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, প্রকল্পের বরাদ্দ নেয়ার পরেও কাজ সম্পন্ন না করায় চাপ প্রয়োগ করেছি বিধায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বন্দর উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, কারও কাজ জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়াটা বিরাট অন্যায়। আবদুস সালাম দলীয় ক্ষমতার প্রভাবে কিছু মেম্বারদের কাজ অন্যদের দিয়ে করাচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিনারা নাজমীন জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×