ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায় বাফুফে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায় বাফুফে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্বীকৃতি সবাই চায়। তবে এ জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা, চেষ্টা ও নিয়মকানুন সম্পর্কে জানা। অথচ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রথম দুটি থাকলেও বিস্ময়করভাবে ছিল না শেষেরটা। কথায় আছে, ‘ঠুস খেলে হুঁশ হয়।’ বাফুফেরও চৈতন্যদয় হয়েছে বিলম্বে হলেও। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের ক্লাব ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যাচগুলো যেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা কর্তৃক আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বীকৃতি পায়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দল সাফ পর্যায়ের যত ফুটবল ম্যাচ খেলেছে, তার কোনটিই পায়নি ফিফার স্বীকৃতি! এর কারণ কী? ‘ফিফার কাছে আবেদন করলে তারা কিছু নিয়মকানুন মেনে ম্যাচগুলোকে আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু এই নিয়মটি না জানায় বাফুফে কখনই এ বিষয়ে আবেদন করেনি’Ñএমনটাই বললেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দলের বর্তমান এএফসি র‌্যাঙ্কিং ২২, আর ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১১৬। অথচ গত দুই বছর ধরে তাদের উর্ধমুখী পারফর্মেন্স অনুযায়ী (সর্বশেষ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল খেলে বাংলাদেশ) এত বেশি র‌্যাঙ্কিং হওয়ার কথা নয়। কিন্তু র‌্যাঙ্কিং ঠিকই বেশি। কারণটা হচ্ছে বাফুফের ওই অজ্ঞতা। উল্লেখ্য, ফিফার আইন অনুসারে স্বীকৃতি পাওয়া আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো কিন্তু একই শ্রেণীর নয়। এগুলোর মধ্যে আবার শ্রেণীবিভাগ আছে। এগুলো হচ্ছেÑ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ টায়ার। ‘টায়ার’ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে স্বীকৃত প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ। তাছাড়া প্রীতিম্যাচ খেললে সেটা হবে ‘ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ।’ আবার কোন প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হলে সেটা হবে ‘ফিফা আন্তর্জাতিক ম্যাচ।’ কয়েক দিন আগেই শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাব বুসান আই পার্কের বিরুদ্ধে যে ম্যাচটি খেলেছিল, সেটা ছিল ‘টায়ার-টু’ এর (ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ) ম্যাচ। আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে কয়েক দিন আগে জাপান অনুর্ধ-২১ জাতীয় দল যে ম্যাচটি খেলে গেল, সেটিও ছিল সেকেন্ড টায়ারের (ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ) ম্যাচ। তাহলে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকা ও সিলেটে তৃতীয় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টটি শুরু হতে যাচ্ছে, সেই ম্যাচগুলো কোন ক্যাটাগরির স্বীকৃত ফিফা ফ্রেন্ডলি হবে? বাফুফে কি এ ম্যাচগুলোর স্বীকৃতি পাবার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে? সোহাগ জানান, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ম্যাচগুলো যেন ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচের স্বীকৃতি পায়, এ জন্য ইতোমধ্যেই ফিফার কাছে বাফুফে আবেদন করেছে। সেই সঙ্গে আমন্ত্রিত দলগুলোর কাছেও আবেদন ফরম পাঠানো হয়েছে।’ সোহাগ আরও জানান, এই ম্যাচগুলো যদি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচের মর্যাদা পায়, তাহলে সেটা প্রতিটি দেশের ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম ও জাপানের সঙ্গে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ৭টি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ খেলেছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু বিবেচনায় নেয়া হয় জাতীয় দলের খেলা ম্যাচগুলো। তবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসির) র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়। সেটা হচ্ছে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে জাতীয় দলের এবং বাকি ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্লাব দলের ম্যাচগুলো পর্যালোচনা করা।
×