ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দাপুটে জয়ে বছর শেষ লিভারপুলের

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

দাপুটে জয়ে বছর শেষ লিভারপুলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দাপুটে জয়ে ২০১৪ সাল শেষ করল লিভারপুল। সোমবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে দ্য রেডসরা ৪-১ গোলে পরাজিত করে সোয়ানসি সিটিকে। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বিজয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল করেন অ্যাডাম লালানা। একটি গোল করেন ডিফেন্ডার আলবার্তো মরেনো। জোনজো শেলভির আত্মঘাতীর সৌজন্যে অপর গোলটি পায় স্বাগতিকরা। সোয়ানসির হয়ে সান্ত¡নার গোলটি করেন গিলফি সিগুর্ডসন। ভারসাম্যহীন পারফর্মেন্সের মধ্য দিয়ে যাওয়া লিভারপুল টানা দুই জয় আর তিন ম্যাচে অপরাজিত থেকে বছর শেষ করল। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, দ্য রেডসরা মৌসুমে এই প্রথম চার গোলের দেখা পেয়েছে। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে উঠে এসেছে ব্রেন্ডন রজার্সের দল। ১৯ ম্যাচ শেষে ২৮ পয়েন্ট ভা-ারে লিভারপুলের। অন্যদিকে শেষ তিন ম্যাচে প্রথম হারে সোয়ানসির অবস্থান নয় নম্বরে। লিভারপুলের সমান পয়েন্ট হলেও গোলপার্থক্যে পিছিয়ে আছে দলটি। ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি শীর্ষে, ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয় ও ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অবস্থান তিন নম্বরে। ম্যাচে জোড়া গোল করা লালানা অন্ততপক্ষে দলকে শীর্ষে চারে দেখতে চান। সুপার পারফর্মেন্সের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। মৌসুম শেষে আমাদের লক্ষ্য অন্ততপক্ষে সেরা চারে থাকা। লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্স বলেন, এটা একটি অসাধারণ পারফর্মেন্স। দলের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। ভাল একটি দলের বিরুদ্ধে এই জয় পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। সত্যিই ছেলেরা দারুণ খেলেছে। টানা দুই জয়ে বছর শেষ করতে পেরেছি আমরা। নতুন বছরে আরও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই খেলবে দল। নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে প্রথম ৩০ মিনিটে ম্যাচের এই ফলাফল অনুমান করা যায়নি। এ সময় মনে হয়েছিল আরেকটি ধাক্কা হয়ত অপেক্ষা করছে লিভারপুলের জন্য! দলটির নিয়মিত অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড খেলেননি। আক্রমণ করে খেলেও শুরুতে গোল না পাওয়ার হতাশায় ডুবতে হয় স্বাগতিকদের। তবে ৩৩ মিনিটে আলবার্তো মরেনোর কল্যাণে গোল উৎসব শুরু হয়। জর্ডান হেন্ডারসনের সহযোগিতায় গোল করেন ডিফেন্ডার আলবার্তো। এক গোলের অগ্রগামিতা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে দ্য রেডসরা। বিরতির পর ৫১ মিনিটে সোয়ানসি গোলরক্ষক লুকাস ফ্যাবিয়ান্সকির ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। বল ক্লিয়ার করার জন্য বাঁম পায়ে শট নিলে ডি বক্সের মধ্যে থাকা অ্যাডাম লালানার গায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। পরের মিনিটেই সোয়ানসির হয়ে গোল করেন গিলফি সিগুর্ডসন। ফলে ম্যাচ জমে ওঠার ইঙ্গিত মেলে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব প্রতিরোধ থেমে যায় সোয়ানসির। লিভারপুলের হয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন লালানা। ৬১ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপ কাউটিনহোর সহযোগিতায় দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন তিনি। এর আট মিনিট পর সোয়ানসি মিডফিল্ডার জোনজো শেলভির আত্মঘাতী গোলে নিজেদের চার গোল পূর্ণ করে লিভারপুল। এরপর আর কোন গোল না হলে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রজার্স বাহিনী। অবশ্য আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত লিভারপুল। কিন্তু রাহিম স্টার্লিংয়ের একটি শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। আর বদলি হিসেবে নামা ইতালিয়ান ব্যাডবয় মারিও বালোতেল্লির একটি প্রচেষ্টা অসামান্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন অতিথি গোলরক্ষক।
×