যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে। ইরানি সামরিক বাহিনী গত বছর ইরাকে নাটকীয়ভাবে তাদের সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধি করেছে। তেহরান আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাগদাদে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাঠিয়েছে। মার্কিনী, ইরাকী ও ইরানী সূত্রে এ কথা বলা হয়। ওবামা প্রশাসনের দৃষ্টিতে এখনকার জন্য তেহরানের এটাই গ্রহণযোগ্য ভূমিকা। বর্বর আইএসের উত্থানের ব্যাপারে একই রকম উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনের।
তথাপি মার্কিন সৈন্যরা ইরাকে একটি সীমিত মিশনে ফিরে যাওয়ায় আমেরিকান কর্মকর্তারা ইরানের সঙ্গে নতুন করে সংঘর্ষের সম্ভাবনার ব্যাপারে আশঙ্কিত। এ নতুন সংঘর্ষের সম্ভাবনার সৃষ্টি হতে পারে সরাসরিভাবে অথবা ইরানী সমর্থক জঙ্গীদের মাধ্যমে। একসময় মার্কিন কর্মচারীদের ওপর নিয়মিতভাবে হামলা চালিয়েছে জঙ্গীরাই। নিরাপত্তা বিষয় প্রকাশে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তেহরান নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক শীর্ষ ইরানী ধর্মীয় নেতা বলেছেন, আইএস জুনে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা দখলে নেয়ার পর ইরান ইরাকে ১ হাজারের বেশি সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছে এবং বিমান হামলা চালিয়েছে। তেহরান এখানে সামরিক সাহায্য হিসেবে ১শ’ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। ধর্মীয় নেতা জানান, দায়েশের কাছ থেকে যে সব এলাকা মুক্ত করা হয়েছে সেগুলোর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ইরানের পরামর্শ, নির্দেশ, নেতৃত্ব ও সমর্থনের জন্য। একইভাবে ইরাকের শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকার শক্তিশালী জঙ্গী ও বিশাল শিয়া স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে ক্রমেই। যদিও ওবামা প্রশাসন বলেছে, তারা ইরানের সঙ্গে সরাসরি সমন্বয় করছেন। তারপরও আইএসের বিরুদ্ধে দুদেশের অস্ত্র পর্যায়ের জোট এক অস্বস্তিকর বাস্তবতা। এর কারণ শুধু এটা নয় যে, ২০০৩-২০১১-এর যুদ্ধের সময় মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আইএসের লড়াইয়ে যে সৈন্যরা ফলপ্রসূ বলে প্রমাণিত হয়েছে তাদের বিক্ষুব্ধ করেছে কোন কোন জঙ্গী।
কারণ এটাও যে, ইরান সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র চাইছে আসাদের উৎখাত। মার্কিন কূটনীতিকরা ইতোমধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন রোধে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর ওপর একটি চুক্তিতে পৌঁছার চেষ্টা করছে। ইরাকে কয়েকজন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শদানকারী আলী খেদারি নামের জনৈক ব্যক্তি বলেছেন, ২০০৩-এর পর ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের মধ্যে বৈরিতাকে উস্কে দিয়েছে যে উত্তেজনা তা আইএসকে পরাজিত করার ইচ্ছাকে মুখোশে ঢেকে রেখেছে।
ওয়াশিংটন ও তেহরান;###;সমানভাবে উদ্বিগ্ন
আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের অভিন্ন অবস্থান
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: