ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে অবদান রাখতে চায় কোরিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে অবদান রাখতে চায় কোরিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এশিয়ার মধ্যে কোন দেশটি সবচেয়ে বেশিবার ও কতবার ফিফা বিশ্বকাপ খেলেছে? উত্তর হচ্ছেÑ দক্ষিণ কোরিয়া, ৯ বার। এর মধ্যে ৮ বারই খেলেছে টানা! সেটা ১৯৮৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত। এর আগে ১৯৫৪ আসরে অংশ নিয়েছিল প্রথমবারের মতো। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৬৯, তবে এশিয়ার মধ্যে সেটা ৩। তাদের সঙ্গে তুলনা করলে যথেষ্ট পিছিয়েই আছে কখনও বিশ্বকাপের মূলপর্বে না খেলা বাংলাদেশ। ফিফা ও এএফসিতে তাদের র‌্যাঙ্কিং যথাক্রমে ১৬৫ ও ৩৪। এই যখন অবস্থা, তখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) চাচ্ছে কোরিয়ান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের (কেএফএ) সাহায্য নিয়ে দেশের ফুটবলের প্রভূত উন্নতি ঘটাতে। কেএফএ-এর কাছ থেকে এমন সাহায্যের জন্য মৌখিক আশ্বাসও পেয়েছে বাফুফে। শনিবার বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল, শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি মনজুর কাদের; কেএফএর সভাপতি মং জিউ চুং, সহ-সভাপতি ডং ডায়ে কিম, সভাপতির সহকারী সু হোয়ান আন। দু’দিনের সফরে কেএফএর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসেন। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড ও দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আই পার্কের মধ্যে একটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের আগে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন বলেন, ‘কেএফএ সভাপতির সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে সাহায্য করতে আগ্রহী। আমি তাদের কাছে চেয়েছি কয়েকটি জিনিস। এগুলো হলোÑ তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, তাদের ক্লাবগুলোর সঙ্গে আমাদের ক্লাবগুলোর সঙ্গে বেশি পরিমাণে প্রীতি ম্যাচ খেলা, কোরিয়ান কোচ দিয়ে আমাদের সাহায্য করা, তারা যে টানা ৮ বারের সেই বিশ্বকাপ খেলেছে, তার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করা। যদি এই সাহায্যগুলো আমরা যথাযথভাবে পেলে আমাদের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলার লক্ষ্য পূরণ হবে (উল্লেখ্য, বুসান আই পার্ক এই আসরে শিরোপা জেতে ১৯৮৬ সালে)। এছাড়া আমাদের যুব ও ফুটবল একাডেমি পর্যায়েও তাদের টেকনিক্যাল সহযোগিতা কামনা করি।’ জামালের সভাপতি মনজুর কাদের বলেন, ‘কোরিয়ানদের সঙ্গে কাজ করলে আমার মনে হয় বাংলাদেশের ফুটবল আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। বুসান আই পার্ক এবার যেভাবে বাংলাদেশে খেলতে এসেছে, তেমনি ওদের দেশে গিয়ে শেখ জামালও অদূর ভবিষ্যতে খেলে আসবে বলে প্রত্যাশা করি।’ কেএফএ সভাপতি মং বলেন, ‘আমার ইচ্ছে আছে আগামীতে বাংলাদেশে এসে ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দল।’ সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘ওদের নতুন ফুটবল মৌসুমের ক্যালেন্ডার এখনও প্রস্তুত হয়নি। তেমনি আমাদেরটাও। আমাদের ইচ্ছে আছে, ওদের সঙ্গে বসে একটা ক্যালেন্ডারের সিডিউল সমন্বয় করে দুই দেশের ফুটবল কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করার।’ সম্মেলনের শেষদিকে শেখ জামাল ধানম-ির সভাপতি মনজুর কাদের তাদের ক্লাবের ক্রেস্ট উপহার দেন মংকে। এখন দেখা যাক, আগামীতে কেএফএ থেকে কেমন সাহায্য পায় বাফুফে এবং কতটা এগুতে পারে তাদের ফুটবল।
×