ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবাহনী-প্রাইম ব্যাংকের পরাজয়

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

আবাহনী-প্রাইম ব্যাংকের পরাজয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জিতলেই শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে যেত আবাহনী লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কারণ ২০ পয়েন্ট করে নিয়ে এ দুটি দলই ছিল শীর্ষে। কিন্তু সুপার লীগের দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজ নিজ খেলায় হেরে গেছে উভয় দলই। ফতুল্লায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে আবাহনী। আর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে প্রাইম ব্যাংককে। ফলে এখন আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে ফেলেছে দোলেশ্বর। অপর ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬৩ রানে হারিয়ে লড়াইয়ে ভালভাবেই টিকে আছে কলাবাগান ক্রিকেট ক্লাবও (সিএ)। রুবেল-সাকিব নৈপুণ্যে আবাহনীকে হারাল রূপগঞ্জ ॥ ফিরেই ঝলক দেখালেন জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন। একাই তুলে নিলেন তিন উইকেট। অবশ্য ফতুল্লায় আগেই আবাহনীর ব্যাটিং লাইনআপে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন রূপগঞ্জের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আর সে কারণেই শেষ পর্যন্ত রূপগঞ্জের দেয়া ২২২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছুতে ব্যর্থ হয়েছে আবাহনী। যদিও রকিবুল হাসান ৫২ বলে ৪৫ ও অধিনায়ক জিয়াউর রহমান ৩৬ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করে দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন। তবে রকিবুলকে ফিরিয়ে দিয়ে গতির ঝড় শুরু করেন রুবেল। তিনটি উইকেট শিকার করে ৩৪.৪ ওভারে ১৪৫ রানে আবাহনীর গুটিয়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন সম্প্রতি নারীঘটিত সমস্যায় থাকা এ পেসার। সাকিবও ৩ উইকেট নেন। এর আগেই জহুরুল ইসলাম অমির ১০৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেললে ৩৯.৫ ওভারে ৯ উইকেটে ২২১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় রূপগঞ্জ। জুনায়েদ সিদ্দিকীও ৪৯ বলে ৫ চারে ৪২ রানের একটি কার্যকর ইনিংস উপহার দেন। শুভাশিষ রায় ৪২ রানে চারটি ও মোস্তাফিজুর রহমান ৫১ রানে তিনটি উইকেট নেন। কুয়াশার কারণে আলোর স্বল্পতা থাকায় ম্যাচ দেরিতে শুরু হওয়ায় ১০ ওভার করে কমিয়ে দেয়া হয়। স্কোর ॥ রূপগঞ্জ-৩৯.৫ ওভারে ২২১/৯ (জহুরুল ৯৩, জুনায়েদ ৪২; শুভাশিষ ৪/৪২, মোস্তাফিজুর ৩/৫১)। আবাহনী-৩৪.৪ ওভারে ১৪৫/১০ (রকিবুল ৪৫, জিয়া ৩৮; সাকিব ৩/২৫, রুবেল ৩/২৯)। ফল ॥ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭৬ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ জহুরুল ইসলাম (রূপগঞ্জ)। রনি-দেলোয়ারের কাছে নতি স্বীকার প্রাইম ব্যাংকের ॥ আবাহনীর মতো একই ভাগ্যবরণ করেছে প্রাইম ব্যাংকও। জিতলেই আবাহনীকে পেছনে ফেলে এককভাবে শীর্ষস্থান দখল করত দলটি। কিন্তু জিতেছে দোলেশ্বর। আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ ওভারের ম্যাচে পেসার দেলোয়ার হোসেন ও ইলিয়াস সানির দাপটে ৩৫.৪ ওভারে মাত্র ১৫৩ রানেই গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। শুভাগত হোম ৪৩ বলে ৪ চারে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। দেলোয়ার ২৬ রানে পাঁচটি আর ইলিয়াস ৩৪ রানে তিনটি উইকেট শিকার করেন। জবাব দিতে নেমে রনি তালুকদারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সহজ জয় তুলে নেয় দোলেশ্বর। তিনি ৬০ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৭ রান করে ফিরে গেলেও ততক্ষণে জয়ের ঠিকানার কাছাকাছি চলে গেছে দোলেশ্বর। ২৮.২ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলে ৭ উইকেটের জয় পায় দোলেশ্বর। স্কোর ॥ প্রাইম ব্যাংক-৩৫.৪ ওভারে ১৫৩/১০ (শুভাগত ৩৭, তৈয়বুর ২৬; দেলোয়ার ৫/২৬, ইলিয়াস ৩/৩৪)। দোলেশ্বর-২৮.২ ওভারে ১৫৪/৩ (রনি ৭৭, মুশফিক ২৫*; সৌম্য ১/১৭, মাহমুদুল্লাহ ১/৩২)। ফল ॥ প্রাইম দোলেশ্বর ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ দেলোয়ার হোসেন (প্রাইম দোলেশ্বর)। আরও পেছাল মোহামেডান ॥ লড়াইটা ছিল এগিয়ে যাওয়ার। সে লড়াইয়ে হেরেছে মোহামেডান। কলাবাগান সিএ প্রথম ব্যাট করে ৪৫ ওভারের ম্যাচে ২০০ রানে গুটিয়ে যায় ৪৩.৪ ওভারে। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ৪৬ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরে গেলেও পরবর্তীতে মেহেদী হোসেন মিরাজ (৬২ বলে ৪১) ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়া মোহামেডান ৪১.২ ওভারে মাত্র ১৩৭ রানেই গুটিয়ে যায়। নাঈম ইসলাম ৮০ বলে ৭ চারে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। নাবিল সামাদ মাত্র ১০ রানে ৪ উইকেট নেন। স্কোর ॥ কলাবাগান সিএ-৪৩.৪ ওভারে ২০০/১০ (ইমতিয়াজ ৫৬, মিরাজ ৪১, ইরফান ৩২; নাঈম ৩/৩০, রাহাতুল ৩/৩৫, রহমত ২/৩৫)। মোহামেডান-৪১.২ ওভারে ১৩৭/১০ (নাঈম ৫৬, অমিত ১৭*; নাবিল ৪/১০, মাহমুদুল ৩/২১)। ফল ॥ কলাবাগান সিএ ৬৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাবিল সামাদ (কলাবাগান সিএ)।
×