স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত গাড়িগুলো বছরের পর বছর ধরে অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থাকা ও সিদ্ধান্তের অভাবে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে শুরু করেছে। এসব গাড়ি নিলামে বিক্রি করর কোন নির্দেশ না থাকায় একটি চক্র এস গাড়ির মূল্যবাস যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়ায় পড়ে থাকা গাড়িগুলো এখন খোলশে পরিনত হয়েছে। অথচ এসব সঠিক সময়ে নিলাম করা হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা হতো।
প্রায় তিন দশক হতে পড়ে থাকা নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের দুইটি ও সৈয়দপুর হাসপাতালের ১টি এবং সৈয়দপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুটি এ্যাম্বুলেন্স বিকল হয়ে পড়ে থাকতে থাকতে আজ নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। এ ক্ষেত্রে নতুন এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলেও ওই বিকল এ্যাম্বুলেন্স মেরামত যেমন করা হয়নি তেমনি নির্দেশনার অভাবে নিলাম করা সম্ভব হয়নি।
সৈয়দপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সূত্র জানায়, ড্রাইভারের পদ শূন্য থাকায় একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স অচল হয়ে পড়ছে। বর্তমানে এটি গ্যারেজবন্দি করে রাখা হয়েছে। অপর এ্যাম্বুলেন্সটি মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। অপরদিকে বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ কমিউনিকেশন লিমিটেড (বিটিসিএল) সৈয়দপুর অফিসের একটি ডবল কেবিন পিকআপ মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, পৌরসভার বিভিন্ন অকেজো যানবাহন নিলামের মাধ্যমে বিক্রির জন্য প্রায় ২০ বছর ধরে চিঠি চালাচালি করছেন। কিন্তু আজও অনুমতি মেলেনি। নীলফামারী জেলার গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময় থানায় আসা গাড়িগুলো খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে দিনের পর দিন পড়ে আছে। অধিকাংশ যানবাহন ও গাড়ির যন্ত্রাংশ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে, দেখার কেউ নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলায় আটক থানায় পড়ে থাকা যানবাহনগুলোর কোন সুরাহ না হওয়ায় সে গুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে পড়েছে।
দুই মাস আগে শহরে গিয়ে আর ফেরেনি ইছমত আরা
স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দীর্ঘ প্রায় দুই মাসেও কোন হদিস মেলেনি গৃহবধূ ইছমত আরা বেগমের (২৭)। চলতি বছরের গত ২৮ অক্টোবর শহরের উকিলপাড়া এলাকার বাড়িতে ছয় ও নয় বছরের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে এই গৃহবধূর। স্ত্রীর কোন হদিস না পাওয়ায় স্বামী সন্তানরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
শহরের কাছারি বাজারস্থ চা দোকানি আনিছুর রহমান জানায়, ঘটনার দিন তিনি বিকেলে দোকান থেকে বাড়িতে এসে দেখেন তার দুই কন্যা সন্তান কান্নাকাটি করছে। সন্তানের মুখে জানতে পারি আমার স্ত্রী শীতের কাপড় কেনার জন্য শহরের পৌরসভা মাঠের লন্ডাবাজারে গেছে। কিন্ত সন্ধ্যা হয়ে এলেও বাড়ি আসেনি। এরপর থেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রীর কোন হদিস না পেয়ে ৩০ অক্টোবর নীলফামারী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন আনিছুর রহমান।