ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নির্যাতনের শিকার নৌ-শ্রমিকরা

মেঘনার ত্রিমোহনায় অবৈধ বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

মেঘনার ত্রিমোহনায় অবৈধ বালু উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মেঘনা নদীর ত্রি-মোহনায় সোনারগাঁ-মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া এলাকায় চলাচলরত নৌযানের শ্রমিকদের ওপরে হামলা, ছিনতাই ও নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এসব এলাকা দিয়ে চলাচলকারী বালুবাহী বাল্কহেড ও ইঞ্জিনচালিত নৌযান এবং নৌযানে থাকা শ্রমিক-কর্মচারীরা। স্থানীয় দুটি ইজারাদার গ্রুপ এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই এলাকায় নদী পথে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদা আদায়কারী দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্য দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান রয়েছে। আর ইজারাদার প্রতিষ্ঠান দুইটির দ্বন্দ্বের জের ধরেই এসব এলাকা দিয়ে চলাচলকারী নৌযান ও শ্রমিক-কর্মচারীদের ওপর বিভিন্ন সময় নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। আর এভাবেই দিনের পর দিন এসব নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছে নৌযানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। তবে নৌযান শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জের পাগলায় অবস্থিত বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, নৌশ্রমিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন এ নিয়ে কোন ব্যবস্থা না নিলে নৌধর্মঘটসহ নানা আন্দোলন-কর্মসূচী হাতে নেয়া হবে। মেঘনা নদীর ত্রি-মোহনা হিসেবে পরিচিত সোনারগাঁ-মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা ও মারধরের ঘটনায় নৌ শ্রমিকরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। তবে স্থানীয় বালু মহলের দুইটি ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বের জের ধরে নৌ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ-সোনারগাঁ এলাকায় মেঘনার ত্রি-মোহনায় চলাচলকারী নৌ শ্রমিকরা ইচ্ছামতো কোন ইজারাদারের একক মহলে বালু আনতে পারে না। চাঁদনী ট্রেডার্স ও বিজয় ট্রেডার্স নামের দুটি ইজারাদার গ্রুপই তাদের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরে নৌ-শ্রমিকদের মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদের মহল থেকে বালু আনতে বলে। চার পিস্তল ও ১৭ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৭ ডিসেম্বর ॥ টাঙ্গাইলের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান খান পুনমকে চারটি বিদেশী পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি, দেশী অস্ত্র এবং বিপুল মাদকসহ গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ শহরের আকুরটাকুর পাড়ার তার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার পিতার নাম কুতুব উদ্দিন খান। টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মাহফিজুর রহমান জানান, পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী পুনম আওয়ামী লীগ দলীয় (টাঙ্গাইল-৩) সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাতিজা। এমপির প্রভাব খাটিয়ে সে সন্ত্রাসী কর্মকা- করে বেড়াত। আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যার সঙ্গে এমপির পরিবারের সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে এমপি রানা আত্মগোপনে রয়েছে। তার অনুপস্থিতিতেও পুনম তার বাসায় গোপনে বিশাল অস্ত্রভা-ার গড়ে তোলে। বাসায় কে ঢুকছে তা নিজের রুম থেকে দেখার জন্য বাসার চারপাশে ছয়টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সে। দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা পুলিশ তার ওপর নজর রাখছিল। শনিবার দুপুরে পুলিশ গোপন সংবাদ পায় পুনম বাসায় আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার রুমে তল্লাশি চালানো হয়। বাসা থকে একটি অত্যাধুনিক নাইন এমএম পিস্তল, ম্যাগাজিনে গুলি ভরা একটি রিভলবার, দুটি ৭.৬৫ বোরের বিদেশী পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি, সাতটি চাপাতি, ছয়টি ছোরা, বাটাল, ২০টি চকোলেট বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, মদ, বিয়ার, গাঁজা ও ৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুনমের ঘর থেকে নম্বরবিহীন এপাচি আরডিআর একটি মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ, দু’টি কম্পিউটার, ছয়টি সিসি ক্যামেরাও জব্দ করা হয়।
×