ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাঙলা নাট্যদলের ‘প্রেম পরাণের কথা’ নাটক মঞ্চস্থ

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

বাঙলা নাট্যদলের ‘প্রেম পরাণের কথা’ নাটক  মঞ্চস্থ

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঙলা নাট্যদলের জনপ্রিয় প্রযোজনা ‘প্রেম পরাণের কথা’ নাটকের ১২তম মঞ্চায়ন হয়। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন হ ম সহিদুজ্জামান। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আবিদ আহমেদ, মেহেজাবিন রাত্রি, সেলিম বহুরূপী, রাজু হোসাইন, নাসির আহমেদ, জয়া হাসান, হ ম সহিদুজ্জামান, নিহার হোসেন ফারুক, পলাশ খান, সুবর্ণা আক্তার, মজিবুর রহমান মিয়জি। নাটকের মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনায় আবিদ আহমেদ এবং সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন অনন্যা সাফরিন। নাটকটি পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জীবন ও তাদের সংস্কৃতির ভিত্তিতে আবর্তিত। নাটকের গল্পে দেখা যায় জমশেদ বেপারি পুরানা ঢাকার ব্যবসায়ী তার একমাত্র মেয়ে ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। তাকে তালিম দেয়ার জন্যে নবী উল্লাহর ছেলে মোতাহার বাড়িতে কৌশলে প্রবেশ করে। জমশেদ গুলবাহারের বিয়ের জন্য খুবই চিন্তিত। মারজান জমশেদকে অনেক বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু তাতে রাজি হয় না। মারজান খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মোতাহার উচ্চবংশের নবী উল্লাহর পরিবারের ছোট ছেলে। জমশেদ প্রস্তাবে রাজি হয়। কিন্তু ঘটনা এমে গুলবাহারের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে নবী উল্লাহ পরিবারের বড় ছেলে আতাহারের সঙ্গে। মোতাহার ভালবাসে আবার গুলবাহারকে। কিন্তু তাদের সম্পর্ক কী করে সম্ভব? এদিক মাখন গুলবাহারকে পাওয়ার জন্য নানা কৌশল ব্যবহার করে কাজল ও মেহেরজানকে দিয়ে। ফলে মোতাহার গুলবাহারের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। অবশেষে তাদের ভুলের অবসান ঘটায় মোহাম্মদ আলী ও গোলাপজান। বিয়ে যখন সবকিছুই ঠিক তার আগের দিন রাতে মোতাহার ও গুলবাহার পালিয়ে যায়। নবী উল্লাহর ছেলে আতাহার বর সেজে যখন গুলবাহারের বাড়িতে যায় তখন মেয়ের চিন্তায় জমশেদ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী।
×