ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেই রিয়াসাত এখন ফিলিপিান্সের পাচাঙ্গাতে

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

সেই রিয়াসাত এখন ফিলিপিান্সের  পাচাঙ্গাতে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইসচান রিয়াসাত খাতন (২৫) বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জার্মান। গত বছর বাফুফেতে এসে ট্রায়াল দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে। তবে সুযোগ পাননি (ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে ডেনমার্কপ্রবাসী জামাল ভুঁইয়ার)। এবার তিনি খেলবেন ফিলিপিন্সের পাচাঙ্গা দিলিমান এফসিতে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখছেন এখনও। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বাফুফে যদি আবার আমাকে ডাকে, তাহলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই।’ রিয়াসাতের চোখে বাংলাদেশের এখনকার ফুটবলারদের মধ্যে সেরা হচ্ছেন সোহেল রানা। তিনি মনে করেন সোহেল রানা এবং ওমর বাবুর মতো খেলোয়াড়দের ইউরোপিয়ান লীগগুলোতে খেলার যোগ্যতা আছে।’ জার্মান সিসি হেম দম্পতির একমাত্র সন্তান হচ্ছেন রিয়াসাত। জন্ম ঢাকায়। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পাড়ি দেন সুদূর জার্মানির ফ্রেইবুর্গ শহরে। জার্মানির আর সব শিশুদের মতো স্কুলেই শুরু ফুটবল খেলা। শৈশবের ওয়েরহফ স্কুল থেকে এরপর মাত্র ৬ বছর বয়সে নাম লেখান ফ্রেইবার্গার এফসিতে। শুরু করেছিলেন স্ট্রাইকার হিসেবে। সেখানে তার খেলা চোখে পড়ে হানসা রস্টক আরএসসি ফ্রেইবুর্গ টিমের স্কাউটদের। রিয়াসাতকে তারা বেছে নেন নিজ শহর ফ্রেইবুর্গের হয়ে খেলতে। সেখানকার একাডেমিতে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের পুরস্কারস্বরূপ জায়গা করে নেন ফ্রেইবুর্গ এসসির অনুর্ধ-১৭ দলে। এরপরের মৌসুমেই জায়গা করে নেন অনুর্ধ-১৯ দলে। পরের বছর হয়তো মূল দলেই জায়গা হতো। কিন্তু তার পরিবার চলে যায় জার্মানির অন্য একটি শহরে ক্যাসেলে। ফলে তিনিও চলে যান পরিবারের সঙ্গে। দলের অনুরোধ রাখতে পারেননি। ‘এখন পেছন ফিরে তাকালে বুঝি সিদ্ধান্তটা মোটেও বুদ্ধিমানের ছিল না। এমনকি আমার তখনকার টিমমেটরা এখন মূল দলের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছে। জার্মানি বা তুরস্কের জাতীয় দলের হয়েও খেলছে। আমার সাবেক টিমমেট ওলিভার বোম্যান এখন হফেনহেইমের হয়ে খেলে, ওমর তপ্রাক লেভারকুসেন এবং তুর্কীদের হয়ে খেলছে। আর ওলিভার সর্গ তো জার্মানির হয়েই খেলছে। আমি নিশ্চিতভাবেই বুন্দেসলিগা-২ তে খেলতে পারতাম। প্রি-সিজনে বুন্দেসলিগা ২ আর ৩-এর দলগুলো আমাদের বিপক্ষে খেলত এবং তাদের বিপক্ষে আমাদের খেলতে তেমন বেগ পেতে হতো না।’ এরপরও এইচ ক্যাসেলের রিজার্ভ টিমে তিনি খেলছিলেন বেশ যোগ্যতার সঙ্গে। কিন্তু অনাকাক্সিক্ষত ইনজুরি তার ক্যারিয়ারকে থামিয়ে দিয়েছে বার বার। যার কারণে ক্যারিয়ার আর বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি। তারপরও এখন ধারে খেলেছেন জার্মানির চতুর্থ ডিভিশনের বিভিন্ন টিমে। সামনের বছর হয়ত আবার দেখা যাবে জার্মানি বা মালয়েশিয়ান লীগে। ২৫ বছর বয়সের পর সেখানে টিকে থাকা বেশ মুশকিল। এখন দেখার বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন কখনও পূরণ হয় কি না রিয়াসাতের।
×