ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘন কুয়াশা ॥ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি চলাচল ৬ ঘণ্টা পর চালু

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

ঘন কুয়াশা ॥ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি চলাচল ৬ ঘণ্টা পর চালু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি সার্ভিস ঘন কুয়াশায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চালু হয়েছে। ভোর সাড়ে চারটা থেকে এই সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কনকনে শীতে মাঝপদ্মায় আটকা থাকে আটটি ফেরি গন্তব্যে ফিরলেও যাত্রী দুর্ভোগ ছিল অবর্ণনীয়। এছাড়া দু’পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছয় শ’ যান। অপেক্ষারত যাত্রীদের কষ্টের যেন সীমা নেই। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ম্যানেজার সিরাজুল হক জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি আমানত শাহ, শাহ পরান, করবী, রাণীক্ষেত, টাপলু, লেন্টিং, থোবাল ও কলমীলতা মাঝপদ্মায় নোঙ্গর করতে বাধ্য হয়েছিল। কুয়াশার চাদর এমনভাবে ঢাকা পড়েছিল যে, খুব কাছের বস্তুও দেখা যাচ্ছিল না। নদীর মার্কিং পয়েন্ট ও বিকন বাতিগুলো না দেখতে পাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখতে হয়। তাই দু’পাড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কুয়াশা কেটে যাবার পর ফেরিগুলো গন্তব্যে রওনা দেয়। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবারও ভোর ছয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় অনেক যান আটকা পড়ে। টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় শিমুলিয়ায় যানবাহনের চাপ এমনিতেই বেশি। অপেক্ষায় থাকা যানের মধ্যে প্রাইভেটকারই তিন শতাধিক। আর পণ্যবাহী ট্রাকগুলো যথাসময়ে পার হতে না পারায় এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কাওড়াকান্দি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল বাতেন মিয়া জানান, কুয়াশায় কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটের মার্কিং পয়েন্ট ও বিকন বাতিগুলো দেখতে না পাওয়ায় শুক্রবার ভোর ৪টা থেকেই ফেরির চালকরা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। সকাল ১০টার পর কুয়াশার তীব্রতা কমতে থাকায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। এদিকে ফেরির সঙ্গে স্পীডবোট, ট্রলার ও লঞ্চ পারাপার বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স, জরুরী ওষুধ ও কুরিয়ার সার্ভিসের বিভিন্ন গাড়িসহ দুই শতাধিক গাড়ি কাওড়াকান্দি ঘাটে আটকে পড়ে। ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। ভোর চারটা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা ফেরিসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে।
×