ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমুদ্রবন্দর, শিপব্রেকিং শিল্প- দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের জোয়ার

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪

সমুদ্রবন্দর, শিপব্রেকিং শিল্প- দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের জোয়ার

শংকর লাল দাশ, মোঃ মোখলেছুর রহমান, মেজবাহউদ্দিন মাননু, পটুয়াখালী থেকে ॥ তৃতীয় সমুদ্রবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ, ক্যাডেট কলেজ, তাপবিদ্যুত কেন্দ্র, বীজবর্ধন খামার ও শিপব্রেকিংসহ একগুচ্ছ প্রকল্প পটুয়াখালী তথা দক্ষিণাঞ্চলের জন্য খুলে দিচ্ছে অপার সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। বর্তমান সরকারের নেয়া এসব প্রকল্পের মধ্যে কয়েকটি প্রকল্প এরই মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকিগুলোর কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। সংশ্লিষ্টদের মতে- যোগাযোগ, শিক্ষা, শিল্প-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব এতটাই সুদূরপ্রসারী এবং বিস্তৃত হবে, যা দক্ষিণাঞ্চলকে অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে। এমনকি এক সময়ের অবহেলিত পটুয়াখালী দেশের অর্থনীতির ‘রাজধানী’ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে, এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পগুলোর কারণে এ অঞ্চলের চিরচেনা দৃশ্যপটের অনেক কিছুই পাল্টে যাবে। দূরীভূত হবে বেকারত্ব। বাড়বে শিক্ষার হার। শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে দ্রুত। একইভাবে জীবন-জীবিকার সব ক্ষেত্রেই ঘটবে আমূল পরিবর্তন। তাই এ অঞ্চলের মানুষ এখন এসব প্রকল্পের আশু বাস্তবায়নের দিন গুনছে। সাগরপারের পটুয়াখালী জেলার মানুষ বরাবরই অবহেলিত। অভাব-অনটন এবং ঝড়-ঝঞ্ঝাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ অঞ্চলের মানুষের নিত্যসঙ্গী। তার ওপরে স্বাধীনতার পরে বিশেষ করে পঁচাত্তরপরবর্তী সরকারগুলোর উদাসীনতা এ অঞ্চলকে রেখেছে পশ্চাৎপদ করে। এ অঞ্চলে কখনই নেয়া হয়নি অর্থনীতির গতি সঞ্চার করে কর্মমুখী এমন বড় ধরনের কোন উন্নয়ন প্রকল্প। ১৯৯৬ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ অঞ্চলে প্রথম উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে পাথরঘাটা থেকে শুরু করে সোনারচর পর্যন্ত ‘বিশেষ পর্যটন জোন’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এর পরই কুয়াকাটায় গড়ে ওঠে পর্যটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন স্থাপনা। কিন্তু ২০০১ পরবর্তী সরকারের বৈষম্যের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া যাবতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০০৮ এ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী তথা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে আবার নতুন করে একগুচ্ছ প্রকল্প গ্রহণ করেন। যার অন্যতম হচ্ছে- দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর স্থাপন। ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর’ নামের এ গভীর সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কলাপাড়ার রামনাবাদ চ্যানেলে এ বন্দর স্থাপন করা হয়েছে। চ্যানেলসংলগ্ন লালুয়া ইউনিয়নের চরবাড়িয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠছে বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা। এরই মধ্যে পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য চ্যানেলে স্থাপন হয়েছে পন্টুন ও টার্মিনাল ভবন। নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগসহ নিরাপত্তা ভবনের উদ্বোধন হয়েছে। বর্তমানে বন্দর থেকে কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়ক পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার চার লেনের সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এর পাশাপাশি নৌপথে পণ্য পরিবহনেও নেয়া হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। যার অন্যতম হচ্ছে- সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের জন্য চীন সরকারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ১৩৭টি সুপারসনিক ড্রেজার মেশিন আনা হচ্ছে। রামনাবাদ চ্যানেল থেকে চালিতাবুনিয়া-কোড়ালিয়া হয়ে তেঁতুলিয়া নদী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত সব নদী গভীরভাবে সারাবছর খনন কাজে এগুলো ব্যবহার করা হবে। এতে সব নদী সারা বছর নাব্য থাকবে। পণ্য ভর্তি গভীর জাহাজও অবাধে চলাচল করতে পারবে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সামগ্রিকভাবে গড়ে তোলা এবং দ্রুত চালুর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে পায়রা সমুদ্রবন্দরের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এমনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে- যাতে গভীর সমুদ্র থেকে সব ধরনের মাদার ভেসেল সরাসরি বন্দরে নোঙর করতে পারে। এজন্য লাইটারেজ জাহাজ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না। পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার মহাসড়কের দু’ পাশের জমির দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ভিতরের জমির দামও বেড়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি রামনাবাদ চ্যানেলের অপর পাড়ে রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী সংলগ্ন চরজাহাজমারায় স্থাপিত হতে যাচ্ছে শিপব্রেকিং শিল্প। এখানে পুরনো জাহাজ ভাঙ্গা ছাড়াও নতুন জাহাজ নির্মাণের ইয়ার্ড স্থাপনের উদ্যোগ চলছে। অন্যদিকে রয়েছে প্রচুর খাসজমি। যা সহজেই এ খাতে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের আগ্রহী করে তুলেছে। এ নিয়ে এরই মধ্যে কয়েক দফা জরিপ ও সম্ভাব্যতা যাছাই করা হয়েছে। প্রায় সব জরিপেই এর নানা ইতিবাচক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কলাপাড়ার মধুপাড়া, চরনিশানবাড়িয়া ও নিশানবাড়িয়া এলাকায় এক হাজার ২ একর জমিতে নির্মিত হতে যাচ্ছে এক হাজার তিনশ’ ২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুত কেন্দ্র। প্রতিবেশ-পরিবেশ সহনীয় আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে স্থাপিত হতে যাওয়া এ প্রকল্পটি চালু হলে তা দক্ষিণাঞ্চল তথা দেশের বিদ্যুত ঘাটতি পূরণে অন্যতম সম্পদে পরিণত হবে। পটুয়াখালীতে মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যাডেট কলেজ স্থাপন প্রকল্প দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষা ক্ষেত্র উন্নয়নে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যার হাসপাতালের করোনারি ইউনিটে মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের প্রথম ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ঘিরে শুরু হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ-আয়োজন। বর্তমান জেনারেল হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কলেজ ক্যাম্পাস বর্ধিতকরণেরও কাজ শুরু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্র করে দেশের নামীদামী বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের শাখা স্থাপনের কাজ শুরু করে দিয়েছে। পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসাসেবায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে, এমন অভিমত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের। একইভাবে পটুয়াখালীর লেবুখালী নদীর উত্তর পারে স্থাপিত হতে যাচ্ছে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন ক্যাডেট কলেজ। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং পরবর্তী এক বছরের মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অবহেলিত পটুয়াখালী তথা দক্ষিণাঞ্চলের কর্মমুখী অর্থনীতির গতি সঞ্চারে আরেকটি বড় প্রকল্প নেয়া হয়েছে ‘ইকোনমিক জোন’ বা ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য এ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর দক্ষিণে সাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিরাপত্তা বিধানে জেলা সদরে ১০ একর জমিতে স্থাপিত হয়েছে কোস্টগার্ডের নিজস্ব ঘাঁটি। দেশে কোস্টগার্ডের এটি নিজস্ব প্রথম ঘাঁটি। এখানে নির্মিত হয়েছে ২৯টি বহুতল ভবন। এখানে কোস্টগার্ডের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোস্টগার্ডের এ ঘাঁটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কলাপাড়ার লালুয়ায় একইভাবে স্থাপিত হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম নৌবাহিনীর ঘাঁটি। সাবমেরিন সংবলিত এ ঘাঁটির জন্য বর্তমানে তিন শ’ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এটির নামকরণ করা হয়েছে শের-ই-বাংলা আধুনিক নৌঘাঁটি। কলাপাড়ার কাউয়ারচরে স্থাপিত হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম ওয়াচ টাওয়ার ও বাতিঘর। এর মাধ্যমে একদিকে পর্যটকরা সবচেয়ে উঁচু টাওয়ারে উঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। আরেকদিকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে সমুদ্রগামী জেলেদের। যারা গভীর সাগরে গিয়ে দিক নির্ণয়ে ভুল করে হারিয়ে যায়। তারা এ বাতিঘরের মাধ্যমে পাবে সঠিক পথের দিশা। এছাড়া, এ ওয়াচ টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে কোস্টরেডিও, যা প্রতিনিয়ত জেলেদের কাছে আবহাওয়া বার্তা পৌছে দেবে। একই সঙ্গে জেলেদের যুক্ত করা হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে। সমুদ্রগামী প্রতিটি জেলে নৌকায় একটি ক্ষুদ্র ডিভাইস স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে জেলেরা যেমন বিপদ সঙ্কেত পাঠাতে পারবে। তেমনি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেও সব জানা সম্ভব হবে। এমনকি হারিয়ে যাওয়া জেলেদের উদ্ধারও সহজ হবে। সমুদ্রে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধেও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনও হচ্ছে পটুয়াখালীতে। জেলার দিয়ারামখোলা গ্রামে এজন্য ১০ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে বাউন্ডারি ওয়ালসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কলাপাড়ার মহিপুরে স্থাপন হতে যাচ্ছে মৎস্য অবতরণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে ১৫ হাজার জেলে পরিবার উপকৃত হবে। এ কেন্দ্র থেকে সাগর থেকে আহরিত মাছ সরাসরি বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা থাকবে। রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজেও এ ধরনের একটি কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। কলাপাড়ায় স্থাপিত হয়েছে আনসার বাহিনীর নিজস্ব ঘাঁটি। যা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। দশমিনা উপজেলার চরবাঁশবাড়িয়ায় গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থাপিত হয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বীজ বর্ধন খামার। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বীজ বর্ধন খামারের উদ্বোধন করেন। পটুয়াখালী অঞ্চলে যোগাযোগ অবকাঠামোয় দেয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কে শেখ জামাল, শেখ কামাল ও শেখ রাসেল নামের পৃথক তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজ বর্তমানে প্রায় শেষের পথে। একইভাবে লেবুখালী নদীর ওপর কুয়েতী অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে গ্যাস ও রেল লাইনসহ চার লেনের সেতু। সাড়ে সাত শ’ কোটি টাকা ব্যয়ের এ সেতু নির্মাণের কাজ আগামী জানুয়ারি মাসেই শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান সরকার পটুয়াখালী তথা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে এমন আরও কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার সব বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে চিরচেনা পটুয়াখালীর দৃশ্যপট।
×