ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবন সংরক্ষণ

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪

সুন্দরবন সংরক্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণে সরকারের কাছে আগামী সপ্তাহে দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল। সুন্দরবনে পর্যবেক্ষণের দ্বিতীয় দিনে বুধবার এ তথ্য জানান প্রতিনিধি দলের প্রধান এ্যামেলিয়া ওয়ালটনস। আগামী শনিবার পর্যন্ত সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ঘুরে বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত সংগ্রহের কাজ করবে প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের প্রধান এ্যামেলিয়া ওয়ালটনস বুধবার আন্দারমানিক বনবিভাগের ফাঁড়ির সামনে তাঁদের নৌযানে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ছড়িয়ে পড়া খনিজ তেলে বনের উদ্ভিদ এবং প্রাণীর ওপর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামী শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। এ সব বিষয় বিশ্লেষণ করে ৩১ ডিসেম্বর সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জামা দেবেন। যাতে দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা থাকবে, যা বাস্তবায়ন করলে সুন্দরবনের ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, ছয়টি দলে বিভক্ত হয়ে ছোট ছোট ট্রলারে বনের বিভিন্ন প্রান্তে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে শ্যালা নদীর বাদামতলার আশপাশের ২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বনসংলগ্ন মানুষ এবং পেশাজীবীর বর্তমান অবস্থা, বনজ এবং জলজপ্রাণীর ওপর তেলের প্রভাব এবং এতে সামগ্রিকভাবে সুন্দরবনের কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ করছি। গত ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার ওটি সাউদান স্টান-৭ ডুবে সাড়ে তিন লাখ লিটার জ্বালানি তেল সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা নদী ও খাল থেকে তেল সংগ্রহ করে ৭০ হাজার লিটার তেল বিপিসির কাছে বিক্রি করেছে। তবে দুই লাখ ৮০ হাজার লিটার তেল জোয়ার-ভাটার পানির সঙ্গে মিশে সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা স্থল শ্যালা নদীর ২৮ থেকে ৩০ বর্গকিলোমিটার এবং ২৫ থেকে ২৬টি খালের ১৬ থেকে ২৬ কিলোমিটার এলাকায় তেলের দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন ছাড়াও অপর সদস্য কাওসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ভয়ঙ্কর পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সরকার জাতিসংঘের সহায়তা চায়। এর প্রেক্ষিতে ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করে, যারা মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। বুধবারও বিভিন্ন শাখা খাল ঘুরে দেখেন প্রতিনিধিরা। এ সময় তাঁরা স্থানীয় বনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে দুর্ঘটনা পরবর্তী অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেন। এছাড়া বিভিন্ন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করেন। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদী এবং বন এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজিবুর রহমান। তাঁরা বাদামতলা থেকে আন্দারমানিক পর্যন্ত বিভিন্ন নদী এবং শাখা খাল ঘুরে দেখেন। জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও তাঁরা মতবিনিময় করেন। এ সময় প্রতিনিধি দলের কাজের অগ্রগতি জানতে চান। এছাড়াও সেখানে তাঁদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা, তাও জানতে চান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী জনকণ্ঠকে বলেন, দুই সচিবই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে মংলাবন্দরের একটি বৈঠক হবে। এ সমন্বয় সভায় ক্ষতির মাত্রা কমাতে আরও কী করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। সুন্দরবনের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বন বিভাগ। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বনবিভাগের জরিপ শেষ হতে অন্তত দুই মাস সময় প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল চারভাগে বিভক্ত হয়ে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছে। তারা উদ্ভিদ, প্রাণী এবং বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর ওপর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছে। ঝুঁকি হ্রাসে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার কথা রয়েছে পর্যবেক্ষক দলের। আজ বুধবার নৌপরিবহন এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছেন। স্থানীয়রা বলছেন, শুরুতে যা মনে করা হয়েছিল এখন সেই পরিমাণ ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে না। তবে যেসব উদ্ভিদে ফার্নেস অয়েল লেগে গিয়েছিল তা কেটে ফেলছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেছে বন বিভাগ এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেটেরাখা লতাগুল্ম সুন্দরবনের ভেতর থেকে বের করে আনছে। এখনও কোথাও কোথাও তেল ভেসে উঠতে দেখা যাচ্ছে। জোয়ারে দেখা না গেলেও ভাটার সময় নদীর দুইপারের গাছে তেল দেখা যাচ্ছে। জাতিসংঘ পরিদর্শন দলের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেন, জাতিসংঘের অয়েল স্পিল রেসপন্স মিশনের প্রধান এ্যামেলিয়া ওয়ালটনসের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের দল মঙ্গলবার সুন্দরবনের মৃগামারি এবং বাদামতলা এলাকায় শ্যালা নদী ছাড়াও আটটি খাল পরিদর্শন করে। চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিনিধি দল বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন। প্রতিনিধি দল ওয়াইল্ড লাইফ, ম্যানগ্রোভ, জনসম্পদ, অয়েল স্পিলিং কন্ট্রোল এই চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। প্রতিনিধি দল ছড়িয়ে পড়া তেলের বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করেছে। এসব উপরকরণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই প্রকৃতপক্ষে এই দুর্ঘটনা সুন্দরবনের কতটুকু ক্ষতি করেছে এবং তা কাটিয়ে উঠতে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরামর্শ দেবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে ঝুঁকি হ্রাসে কী কী করা যায় তাও সুপারিশ করবে এরা। জাতিসংঘের অগ্রবর্তী প্রতিনিধি দলের সুপারিশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা সুন্দরবন এসেছেন। তারা আরও বিশদভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রতিনিধি দল বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে বিভিন্ন স্যাম্পল সংগ্রহ করেছে। নদী এবং বিভিন্ন খালের যেসব এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়েছিল সেসব এলাকায় বিভিন্ন উদ্ভিদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। এসব এলাকায় জল এবং স্থলে কোন্ কোন্ প্রাণী রয়েছে তাদের বর্তমান অবস্থা কী সে বিষয়েও খোঁজ নেয়। স্থানীয় মৎসজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে চাঁদপাই রেঞ্জে মতবিনিময় করেন। এতে সুন্দরবন সুরক্ষায় কী করণীয় তা তুলে ধরেন জনপ্রতিধিরা। ওই মতবিনিময়ে স্থানীয়রা বলছেন, সুন্দরবনের স্বার্থেই সংরক্ষিত এই বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল সীমিত রাখা উচিত। দুর্ঘটনার পরপরই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের উদাসীনতার কথাও জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, আরও আগে থেকে কাজ শুরু করলে ক্ষতির মাত্রা কম হতো। স্থানীয় সুন্দরবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রতিনিধি দলকে বলেন, শুরুতে ক্ষতির যে আশঙ্কা করা হয়েছিল এখন ওই পরিমাণ ক্ষতি হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পরপর কার্যক্রম শুরু না করায় তেলের বিস্তার বেশি হয়েছে। ঘটনার দুইদিন পর স্থানীয়রা তেল সংগ্রহ করতে নামে। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হলে এতটা ক্ষতি হতো না। চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রাসেল প্রতিনিধি দলকে জানান, যেহেতু সংরক্ষিত এলাকা তাই এই রুটে নৌযান চলাচল না করাই ভাল। যে কোন সংরক্ষিত এলাকাকে সংরক্ষণ করে রাখাই উচিত। বন বিভাগ সূত্র জানায়, সোমবার থেকে সরকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে চার সদস্যর একটি দল সুন্দরবনের ওপর ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে। আগামী দুই মাস চারটি গোনে (ভরা জোয়ার-মন্দা জোয়ার) তথ্য সংগ্রহ করবে তদন্ত দল। এতে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন নন্দবালা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, আন্ধারমানিক টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন এবং বন বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ বিভাগের মহিজুর রহমান। জানতে চাইলে মেহেদী হাসান জনকণ্ঠকে বলেন, কি পরিমাণ ক্ষতি হবে তা এখই বলা সম্ভব নয়। আমরা কেবল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। দু’মাসে চারটি গোনে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করছি। ‘বায়োডাইভারসিটি মনিটরিং’ এর আওতায় এসব কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে বলা সম্ভব হবে ছড়িয়ে পড়া তেলে কতটুকু ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, এখনও সেই অর্থে কোন জলজপ্রাণির মৃত্যুর খবর আমরা পাইনি। মরাগোন থাকায় তেল বনের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ায় ক্ষতি কম হবে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া বন বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ মনিটরিং টিম শ্যালার আশেপাশের এলাকায় কোন্ নির্দিষ্ট এলাকায় কী পরিমাণ গাছ এবং প্রাণীর ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণের চেষ্টা করছে। এতে নির্দিষ্ট এলাকায় কী পরিমাণ গাছ এবং প্রাণী আছে তা গোনা করা হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া তেলে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণও করা হয়। তবে এসব বিষয় আরও সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে বলে বন বিভাগ জানায়। বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা যতদূর দেখছি শ্যালা নদীর ২৬ কিলোমিটার এবং সুন্দরবনের ২৫ থেকে ২৬টি খালের ১৬ কিলোমিটার ভেতরে বিস্তরভাবে তেল ছড়িয়ে পড়ে। এতে গোটা এলাকার একটি ম্যাপিং করছে বন বিভাগের ঢাকা কার্যালয়। স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে এসব তথ্য ঢাকায় পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে তেলযুক্ত পানি, লতাগুল্মও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বলা যাবে ফার্নেস অয়েলের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কি হবে না হবে। এছাড়া সুন্দরবনের ওপর দীর্ঘমেয়াদে কি প্রভাব পড়বে। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সুন্দরবনের ভেতর থেকে ফার্নেস অয়েল লেগে থাকা লতাগুল্ম বের করে আনা হচ্ছে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় এসব সংরক্ষণ করা হচ্ছে যাতে পুনরায় ফার্নেস অয়েলের রাসায়নিক ছড়িয়ে না পড়ে। বন বিভাগের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীরা এই কাজ করছেন। বন বিভাগের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, নদী এবং খালেরপারে যেসব ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাসমূলে ফার্নেস অয়েলে লেগে গেছে সেগুলোকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। স্বাভাবিকভাবে ওইসব গাছ খাদ্য গ্রহণ করতে পারবে না। এছাড়া জলাশয়ের উপরিভাগে থাকা অনুজীবের খাদ্যগ্রহণ এবং বংশ বিস্তার বিঘ্নিত হবে। যাতে পুরো খাদ্য শ্বসন প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়বে, যা পুরো সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই প্রভাব সুন্দরবন কবে কাটিয়ে উঠতে পারবে তা নির্দিষ্ট করা জরুরী। ইতোমধ্যে তেল ছড়িয়ে পড়েছিল সেসব এলাকায় বড় কোন প্রাণী দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছেন জলজ এবং বন্য উভয় ধরনের প্রাণীই অন্য এলাকায় সরে গেছে। এতে বনের কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রাণীর বিচরণ বাঁধাগ্রস্ত হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন এই বন কর্মকর্তা।
×