ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে নাড়া পোড়ানো উৎসব জনপ্রিয়তা পাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪

টাঙ্গাইলে নাড়া পোড়ানো  উৎসব জনপ্রিয়তা  পাচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৩ ডিসেম্বর ॥ ধানী জমির পটাশ ঘাটতি পূরণ, প্রাকৃতিক উপায়ে ক্ষতিকর পোকা দমন ও বালাই নাশের জন্য টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নাড়া পোড়ানো উৎসব চালু করেছে। বিনামূল্যের এ কর্মসূচী কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্পসারণ বিভাগ জানায়, প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসে রোপা আমন কাটার পর ক্ষেতে নাড়া থেকে যায়। এ নাড়ায় বাসা বাঁধে বাদামি গাছ ফড়িং, চুংগি ও পাতামোড়ানো পোকা। এসব অপকারি পোকা ধানের নাড়ায় বংশ বিস্তার করে। ডিম ও লার্ভায় ভরে দেয়। কৃষকরা এক দেড় মাস পর হালচাষ করে জমিতে বোরো আবাদ করে। কিন্তু এতে ডিম ও লার্ভা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, মরেও না। জমিতে বোরো চারা লাগানোর পর পাতা সবুজ হয়ে উঠলে পোকা হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ধান গাছে আশ্রয় নেয় এবং ফসলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে কৃষকদের প্রতি বছর কীটনাশক প্রয়োগে বাড়তি খরচ করতে হয়। বিষ প্রয়োগে পরিবেশও বিনষ্ট হয়। এ অবস্থায় আগাম পোকা দমনের জন্য কৃষি বিভাগ রোপা আমন কাটার পর জমির নাড়া আগুনে পুড়িয়ে ডিম ও লার্ভা ধ্বংসের ব্যবস্থা করছে। প্রতিদিনই কৃষিকর্মীরা কৃষকদের সঙ্গে মাঠে দল বেধে নেমে নাড়া পোড়াচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার ফরিদুল হাসান জানান, কৃষকদের এ কাজে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এতে অপকারি পোকা যেমন নির্বংশ হচ্ছে তেমনি পোড়ানো নাড়ার ছাই জমিতে পটাশ সারের কাজ করছে। পটাশের অভাবে ধান গাছের মূল দুর্বল হয়ে পড়ে। গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কা- দুর্বল হওয়ায় গাছ খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। ফলে ধানের ফলন কমে যায়। রাসায়নিক পটাশ ব্যবহার না করে নাড়া পুড়িয়ে পটাশের অভাব পূরণ অর্গানিক চাষাবাদকে উৎসাহিত করা বলে জানান তিনি।
×