স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কুতুবদিয়ায় কাজের মেয়ে তহমিনা বেগম ওরফে ফেরদৌসকে (১৫) খুন করে গর্তে পুঁতে রাখার ৯ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে গর্ত থেকে পলিথিন ও কাঁথা মোড়ানো অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুর রশিদ ও থানার ওসি আলতাফ হোছাইনসহ পুলিশ-আনসার ব্যাটালিয়ন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বড়ঘোপ মগডেইলের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী নিলুফা আখতার ও তার সহযোগী চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়ার শাহাদত হোছাইনের পুত্র বেলাল উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আটকদের স্বীকারোক্তি মতে, লাশ উদ্ধারে বাড়ির আশপাশে ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দিন ধরে জনতার প্রচ- ভিড়সহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘাতক গৃহকর্ত্রী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় ওই কাজের মেয়েকে হত্যা করে রাত ১১টায় বেলাল উদ্দিন ও স্থানীয় কালু মিয়ার পুত্র ছাবের আহমদের সহযোগিতায় পাশের ভরাট পুকুরের কোনায় মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। মেয়েটির বাড়ি লেমশীখালী আশা হাজীর পাড়ায় বলে জানা গেলেও তার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। মেয়েটি ওই ঘরে গত ১০/১১ বছর ধরে ঝিয়ের কাজ করছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: