স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ যে কোন সময় সাময়িকভাবে বরখাস্ত হতে পারেন। মেয়র আরিফুল
হক ও মেয়র জিকে গউছকে অন্তর্ভুক্ত করে কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩য় সম্পূরক চার্জশীট আদালতে গৃহীত হওয়ার পর এ বিষয়টি এখন সামনে চলে এসেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ১২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোন সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলে, সরকার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে লিখিত আদেশের মাধ্যমে ক্ষেত্র মতো মেয়রকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী’র ক্ষেত্রে উপরোক্ত আইনের ওই ধারাটি কার্যকর হলে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক হতে পারেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। একই ধরনের বিধান রয়েছে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯-এর ৩১ (১) ধারায়। ওই অবস্থায় মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্যানেল মেয়র দায়িত্ব পালন করবেন। হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ এর ক্ষেত্রে উপরোক্ত আইনের ওই ধারাটি কার্যকর হলে ১ম প্যানেল মেয়রের কাধে অর্পিত হতে পারে মেয়রের দায়িত্ব। একটি সুত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিয়েছেন । তিনি এ বিষয নিয়ে আইনগত কাজও সম্পন্ন করে রেখেছেন। যেকোন দিন তিনি হবিগঞ্জ আদালতে হাজির হবেন। উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যাকা-ের চার্জশীট দাখিলের পর থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুর হক চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনে ও তিনি অনুপস্থিত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: