ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কিউবানরা

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কিউবানরা

পাঁচ দশকের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখন কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে, কিউবার জনগণ ক’দিন ধরেই এমন খবর শুনছে। দশকের পর দশক ধরে চলা বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম একটি নাটকের পরিসমাপ্তি এখন কিভাবে ঘটবে কিউবানরা সেদিকে গভীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। ওই নাটকে কিউবাই ছিল মুখ্য ভূমিকায়। ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস। দু’দেশের ভবিষ্যত প্রকৃত পক্ষে কোন পথে যাবে তা নিয়ে অবশ্য তারা নিশ্চিত নয়। কিউবান নেতৃত্ব এতকাল পর্যন্ত মার্কিন সরকার ও সেদেশে স্বেচ্ছানির্বাসিত প্রভাবশালী কিউবানদের বিরুদ্ধে বাগ্্যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। এদের কীট থেকে শুরু করে অকৃতজ্ঞ মানুষ বা তার চেয়েও খারাপ ভাষায় কিউবা সরকার অভিহিত করেছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার রেকর্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও নির্বাসিত কিউবানরা হাভানার সমালোচনা করে গেছে। কিন্তু বর্তমানে সম্পর্কে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিউবার ভূমিকা কি হবে। সমস্যা হলো, কিউবার রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল যেমন তেমনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কিউবান আমেরিকানরা ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে যেভাবে মৌখিক বাণে পরস্পরকে জর্জরিত করে এসেছেন সেই অবস্থান থেকে ফিরে আসাটা তাদের জন্য সহজ হবে না। কিউবার প্রসিদ্ধ ঔপন্যাসিক লিউনার্দো পাদুরা যেমনটা বলছেন, ‘৫০ বছর ধরে আমরা বিষোদগার বিনিময় করে আসছি। এখন আমাদের সম্পর্কের সেতুবন্ধনটি নতুন করে গড়ে নিতে হবে। এত বছরের ঘৃণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’ তবে পরিবর্তনের হাওয়া শুরু হয়েছে বলে তিনি মোটের ওপর সন্তুষ্ট। পাদুরো বলছেন, ‘এ যেন দুঃস্বপ্নের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসা। এমন একটি সময় আসবে বলে আমি সবসময় নিশ্চিত ছিলাম।’ ১৯৬০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। কূটনীতির ক্ষেত্রে কিউবাকে দূরে সরিয়ে রাখার এই নীতি ব্যর্থ হয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এর আগেও মন্তব্য করেছেন। গত বুধবার তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে অগ্রসর হওয়ার।’
×