ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিজ শহরে আরেক রোনাল্ডো

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

নিজ শহরে আরেক রোনাল্ডো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেই নিজ দেশ পর্তুগালে ছুটে যান সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেখানে রবিবার নিজ শহরে নিজের ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন বর্তমান বিশ্বসেরা ফুটবলার। নিজের বেড়ে ওঠা শহরে নিজের আদলে আরেক রোনাল্ডোকে ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করেন পর্তুগীজ তারকা। বিশাল আকৃতির ভাস্কর্য সবার জন্য উন্মুক্ত করতেই তিনি মরক্কোর মারাকেশ থেকে ছুটে আসেন পর্তুগালের মাদেইরার ফুঞ্চাল শহরে। ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে রোনাল্ডোর সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থকও। এরপর পর্তুগীজের ছোট দ্বীপ শহরটিতে ভক্তদের সংস্পর্শে আসেন সি আর সেভেন। ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন ভক্তদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রোনাল্ডোর মা ডোলোরেস আভেইরো বলেন, রোনাল্ডো কখনই তার শেখর ভুলে যায়নি। আজকের বিশ্বসেরা রোনাল্ডোর শৈশব কেটেছে পর্তুগালের মাদেইরা শহরে। সান্টো এ্যান্টোনিওতে জন্ম নেয়া ইউরোপসেরা এই ফুটবলারের বেড়ে ওঠা মাদেইরাতে। সেখানে তিনি দারিদ্র্যের কষাঘাতে জীবন অতিবাহিত করেন। লেখাপড়াও চালিয়ে যান এ শহরে। তবে শিক্ষককে চেয়ার ছুড়ে মারায় তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। পড়ালেখার পাঠ চুকানোর আগেই মাকে রাজি করিয়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ফুটবলের সঙ্গে নিজেকে জড়ান। এরপর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি বর্তমান ফিফা সেরা ফুটবলারকে। রোনাল্ডোর নিজ শহরে তার নিজস্ব একটি জাদুঘর আছে যেখানে বিভিন্ন সময়ে ক্যারিয়ারে পাওয়া বিভিন্ন ট্রফিগুলোকে রেখেছেন। এর মধ্যে আছে দুটি ব্যালন ডি অর ট্রফি। আশা করা হচ্ছে তৃতীয়টি এবারও দখল করতে যাচ্ছেন এই মহাতারকা। এই জাদুঘরের অংশ হিসেবেই প্রায় ৩.৪ মিটার উচ্চতার ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে। এটা তাঁর জন্য মাদেইরা শহরবাসীর একটি সম্মাননা স্মারকও। মাদেইরা দ্বীপটি ?ওয়াইনের জন্য বিখ্যাত। এই দ্বীপের প্রধান রফতানি দ্রব্য এটা। কিন্তু এই ওয়াইনের বাইরেও মাদেইরা পৃথিবীকে উপহার দিয়েছে রোনাল্ডোর মতো মহাতারকাকে। এ নিয়ে দ্বীপবাসীর গর্বের শেষ নেই। সেই গর্বই জন্ম দিয়েছে অপার ভালোবাসার, যার প্রমাণ আরেকবার মিলেছে ভাস্কর্য উন্মোচনের মধ্য দিয়ে।
×