ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর শচীন

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর শচীন

স্পোর্টস রিপোর্টার॥ আগামী ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে আয়োজিত হবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের একাদশ আসর। দেড় মাসের কিছুটা বেশি সময় বাকি এ বিশ্বকাপের। সর্বাধিক ছয়টি বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়েছেন ভারতের লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকর। তিনি ২০১১ বিশ্বকাপে সর্বশেষ খেলেছেন। বর্তমানে সব ধরণের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন কিংবদন্তি এই ক্রিকেট নক্ষত্র। তবে বিশ্বকাপের মতো মহাযজ্ঞ এই নক্ষত্রের আলো ম্লান হতে দিচ্ছেনা। আসন্ন বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে তাঁকে মর্যাদা দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। অবশ্য তাঁর আগেই বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে ভারতের বিরাট কোহলি, অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল জনসন ও অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন, নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম এবং শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারাকে ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডরের মর্যাদা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। আর গত আসরে নিজে খেললেও ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর ছিলেন শচীন। টানা দ্বিতীয়বারের মতো একই মর্যাদা পেলেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হয়ে চার বছর অন্তর অন্তর এখন পর্যন্ত ১০টি বিশ্বকাপ অনুুষ্ঠিত হয়েছে। এবার একাদশতম বিশ্বকাপ। ১৯৯২ সালের পর আবার যৌথভাবে এ বিশ্বকাপ আয়োজন করছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এবারের আসর। অস্ট্রেলিয়ার এ্যাডেলেইড, ব্রিসবেন, ক্যানবেরা, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্থ ও সিডনি এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, ডানেডিন, হ্যামিল্টন, নেপিয়ার, নেলসন ও ওয়েলিংটনে এবার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ মার্চ ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে বর্ণাঢ্য এই ক্রিকেট যজ্ঞ। এমন একটি আসরের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হওয়ার সুযোগ পেয়ে দারুন খুশি শচীন। তিনি বলেন,‘আমি উচ্ছ্বসিত এবং সম্মানিত বোধ করছি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর মর্যাদা পাওয়ার জন্য। টানা ৬ বিশ্বকাপ খেলার পর এবার আসন্ন বিশ্বকাপে অন্য এক দায়িত্ব নিয়ে থাকাটা হবে ভিন্নমাত্রার অভিজ্ঞতা। কারণ এবার আমি সাইডলাইনে বসে সবকিছু শুধু পর্যবেক্ষণ করব। এটাকে হয়তো ১৯৮৭ বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। কারণ সেবার আমি বলবয় হিসেবে ছিলাম এবং চরম উৎসাহ নিয়ে আমি প্রতিটি বলের জন্য চিৎকার করেছিলাম।’ বিশ্বকাপ অন্যরকম এক স্মৃতি শচীনের জন্য। প্রথম পাঁচ বিশ্বকাপ খেললেও দলকে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখেননি। অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে সেটাও আবার ঘরের মাটিতে ২০১১ সালে দলকে শিরোপা জিততে দেখলেন, একজন গর্বিত সদস্য হিসেবেই বিদায় নিতে পেরেছেন।
×