ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বরেকর্ড হলো না ভনের

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

বিশ্বরেকর্ড হলো না ভনের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা এক বছর পর নিজেকে যেন আবার নতুন করে ফিরে পেয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কি তারকা লিন্ডসে ভন। বিশ্বকাপে টানা দুটি রেসে জিতেছিলেন। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারলেন না তৃতীয় রেসে। রবিবার সুপার জি রেসে জিতলেই বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতেন। কিন্তু ফ্রান্সের ভ্যাল ডি’আয়ারে সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন ভন। ফলে বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়ার জন্য অপেক্ষা বাড়ল তাঁর। জিতলেই বিশ্বকাপে ৬২ জয় নিয়ে বিশ্বরেকর্ডের মালিক অস্ট্রিয়ার এ্যানিমেয়ার মোসার-প্রোয়েলের সমকক্ষ হয়ে যেতেন ভনও। তবে সুপার জি রেসে বেশ দূরত্ব রেখেই শেষ করেছেন তিনি অস্ট্রিয়ার এলিসাবেথ গোয়ের্জল ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন আনা ফেনিঙ্গারের চেয়ে। দারুণভাবে এবার ভ্যাল ডি’আয়ারে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ভনের। ২০১৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। পড়ে গিয়ে ডান পায়ের হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল ভনের। এরপর এ বছর সোচি অলিম্পিকে অংশ নিতে পারেননি তিনি। তারপর থেকে শুধু ফেরার লড়াই করে যাচ্ছিলেন ভন। অবশেষে চেষ্টার সুফলটা পেলেন এবার ভ্যাল ডি’আয়ারে এসে। জিতলেন টানা দুই রেসে। সে কারণে বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন। বিশ্ব গলফের কিংবদন্তি সম্রাট টাইগার উডসের সান্নিধ্যে নিজেকে যেন অপ্রতিরোধ্যই করে তুলছেন ভন। ইনজুরিকে পড়ার পর থেকেই ভনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা উডসের। নিজের দারুণভাবে ফেরাটার পেছনে অন্যতম অনুপ্রেরণা হিসেবে ভন উডসকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, উডস সাহস জুগিয়েছেন বলেই এত দ্রুত তিনি নিজের আগের ফর্মটা ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছেন। টানা দুই রেস জয়ের পর তাই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি সব সময় চিন্তা করেছি যদি খুব বড় ধরনের ভুলও করি সেক্ষেত্রেও লড়াই চালিয়ে যাব এবং সেজন্যই সফল হয়েছি। আমি জানতাম এখানে আমি জিতবই। এটা তাঁদের জন্য একটা ঘোষণা যে আমি আগে যেখানে ছিলাম ঠিক সেখানেই প্রত্যাবর্তন করছি। দুটি কঠিন বছর পার করে এমন এক মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’ সত্যিই অভাবনীয় প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল বিশ্ব স্কি জগতের অন্যতম এ নক্ষত্রের। তাইতো বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়ার দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল। আরেকটি জিতলেই হয়ে যেত বিশ্বরেকর্ড। কিন্তু সেটা আপাতত হলো না। ৩০ বছর বয়সী ভন অবশ্য সেজন্য বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। তিনি বলেন, ‘আমার যতটা ক্ষিপ্রতা আছে সেটা আমি পারিনি। আমি কিছুটা ক্লান্ত এখন। আগের দিনটা দারুণ ছিল। কিন্তু দীর্ঘসময় পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং আজকের জন্য অনেক বেশি শক্তিমত্তার প্রয়োজন ছিল, যার ঘাটতি ছিল আমার মধ্যে। শীর্ষ পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় আমি অনেক ভাল স্কি করতে পেরেছি এবং আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়েই করেছি। কিছু বিষয়ে আমি একটু ভুল করেছি এবং ঠিকমতো গেটে পৌঁছতে পারিনি। তবে ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে আমার হাঁটু এখন বেশ ভাল অবস্থায় আছে। আর ক্রিসমাসের জন্য আমি বাড়ি ফিরতে পারছি প্রশস্ত হাসি নিয়েই।’ গোয়ের্জল ১ মিনিট ২৫.৪২ সেকেন্ড টাইমিংয়ে সুপার জি রেস জিতেই বাড়ি ফিরছেন।
×