ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে

হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ শিক্ষার আলো পাচ্ছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭৫০ শিশু ও বয়স্ক মানুষ। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৫ হাজার শিশু প্রাক-স্কুল শিক্ষা এবং ১৮ হাজার ৭৫০ বয়স্ক মানুষ সাক্ষরতা ও ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। চতুর্থ দফায় সম্প্রসারিত মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে এ লক্ষ্য পূরণ করা হবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৩১ লাখ ৬ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। সূত্র জানায়, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৪০ জন, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। হিন্দুদের উপাসনার জন্য সারাদেশে প্রায় ২৪ হাজার মন্দির রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধিসহ সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিবেচনায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০২ সালে ১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০২ সালের জুলাই থেকে ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত ২১টি জেলায় মন্দিরভিত্তিক পাঠাগার স্থাপন এবং শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২১ টি জেলায় ২ হাজার ৫২০টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ২ লাখ ৩ হাজার ৪৯০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদান করা হয়। প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে মোট ২৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৭ সালের জুলাই থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত মোট ৩২টি জেলায় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম দ্বিতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে এক লাখ ৫০ হাজার শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান এবং ৬ হাজার ২৫০ বয়স্ককে মৌলিক শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। এরই ধারাবাহিকতায় এবং সমগ্র বাংলাদেশে এই প্রকল্পের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৯৯ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে চলতি বছর থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চতুর্থ পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
×