ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে নেই উন্নয়নের ছোঁয়া

প্রকাশিত: ০৩:২৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে নেই উন্নয়নের ছোঁয়া

সংবাদদাতা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা, ২২ ডিসেম্বর ॥ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ স্টেশনে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন ঢাকা-কলকাতা চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীসাধারণ। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। প্রথমদিকে এ ট্রেনের মাত্র দুটি টিপ চালু হয়। সপ্তাহে একদিন কলকাতা যাওয়া, আর একদিন ঢাকায় ফিরে আসা। আস্তে আস্তে মৈত্রী ট্রেন দেশী-বিদেশী ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণকারীদের কাছে বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে বাড়ে যাত্রী সংখ্যা। কিন্তু সে তুলনায় দর্শনা স্টেশনে বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা ও জনবল। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে কাস্টমস-ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স¤পন্ন করতে যাত্রীদের সময় লেগে যায় ১ ঘণ্টারও বেশি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ইমিগ্রেশন বিভাগে ৮ অফিসার কর্মরত থাকার কথা থাকলেও সেখানে কর্মরত মাত্র ৪ জন। কাস্টমস বিভাগের একই অবস্থা। আন্তর্জাতিক এ স্টেশনে নেই খাবার পানির ব্যবস্থা। স্টেশন চত্বরে ৩টি টিউবওয়েল থাকলেও তাতে পানি ওঠে না। দীর্ঘদিন টিউবওয়েলগুলো অকেজো থাকলেও স্টেশন মাস্টার তা মেরামতের কোন উদ্যোগ নেননি। এ ছাড়া যাত্রীদের স্টেশনের বাইরে যেতে দেয়া হয় না। স্টেশনে সাপ্লাই পানি থাকলেও তাতে মাত্রাতিরিক্ত আয়রন ও খাবার অনুপযোগী হওয়ায় কেউ সে পানির ধারে-কাছেও যায় না। স্টেশনে নেই কোন টি স্টল ও খাবারের হোটেল। এখানে বাইরে থেকে খাবার সরবরাহ নিষেধ। যে কারণে কোন উপায়ান্তুর না পেয়ে ট্রেনেই অতিরিক্ত দামে খাবার কিনতে হয় যাত্রীদের। স্টেশনে লাগেজ পরিবহনে নেই পর্যাপ্ত ট্রলি। ৩ শ’ যাত্রীর জন্য যেখানে ট্রলির প্রয়োজন যাত্রীপ্রতি ট্রলি, সেখানে ট্রলি রয়েছে মাত্র ৩৯ টি। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। বেশিরভাগ যাত্রী ট্রলি না পেয়ে তাদের লাগেজ কষ্ট করে কাস্টমস কাউন্টারে বহন করে থাকে টেনেহেঁচড়ে। স্টেশনে কুলি না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এছাড়াও প্লাটফর্মে নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। ফলে গরমের সময় অসহ্য কষ্ট পোহাতে হয় যাত্রীদের। কাস্টমস-ইমিগ্রেশন কাউন্টার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৫ বছরেও তা স্থাপন করা হয়নি । ফলে ভিআইপি এবং এসি সিটের যাত্রীদের কাস্টমস-ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ঢুকে গরমে কষ্ট করতে হয়। এতে বিদেশী যাত্রীদের কাছে ক্ষুন্ন হয়ে থাকে দেশের সুনাম। ইমিগ্রেশন বিভাগে পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা নেই। এখানে অধিকাংশ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
×