ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

পুরনো ঢাকার ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, দয়াগঞ্জ, নারিন্দা, মিলব্যারাক, আইজি ও অরসিম গেট এবং পোস্তগোলা এলাকাতে ইদানীং কুকুরের উপদ্রব ব্যপকহারে বেড়েছে। দেখার কেউ নেই। প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ থাকার কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এখন আর কুকুর নিধন অভিযান করছে না। অথচ কুকুরের কামড়ে শুধু রাজধানীতে নয়, সারা দেশে জলাতঙ্ক রোগের বিস্তার দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে পুরনো ঢাকায় কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণ। বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে আজকাল রাস্তাঘাটে নির্বিঘেœ চলাচল করা বা সকাল-বিকাল প্রাতঃভ্রমণকারী ও নামাজি এবং পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুলের কচি শিশুদের দেখলে তাদের দিকে কুকুরগুলো তেড়ে আসে। কুকুর নিধনে বা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে পুরনো ঢাকার জনগণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে কুকুরের কামড়ে মারা গেছে বেশকিছু গবাদি পশুও। এ অবস্থায় কুকুর নিধনের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য যে কোন সময় মহামারী আকারে জলাতঙ্ক রোগ বিস্তার দেখা দিতে পারে। তাই জরুরী ভিত্তিতে দেশব্যাপী কুকুর নিধন অভিযান পুনরায় শুরু“করা হোক। মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা। এমফিল কোর্সে তৃতীয় শ্রেণী গ্রহণযোগ্য হোক শিক্ষা লাভই জীবনের উদ্দেশ্য। এই শিক্ষা হতে পারে পুঁথি সংশ্লিষ্ট অথবা হতে পারে ব্যবহারিক কর্মভিত্তিক। বিদ্যা একটি গুণ। সকল প্রকার শিক্ষায়ই গুণ অর্জিত হয়। এই বিদ্যালাভ বা গুণ অর্জনে শিক্ষার্থীর অগ্রণী ভূমিকা থাকে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার যৌথ উদ্যোগেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বাস্তব রূপ লাভ করে। একটি বীজ যেমন অনুকূল পরিবেশপ্রাপ্ত হলেই তা উপ্ত, পল্লবিত ও বিকশিত হয়ে নানা শাখা-প্রশাখায় বিস্তার লাভ করে, তখন তার জীবনের সার্থকতা প্রাপ্তি হয়। তেমনি কোন শিশু বা ব্যক্তি তার সুপ্ত প্রতিভা উপযুক্ত শিক্ষালয়ের সহায়তায় পূর্ণাঙ্গতা প্রকাশ লাভের সুযোগ পায়। তাই ব্যক্তিক প্রতিভা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিকশিত করতে এমফিল কোর্স সম্পন্ন করা অতীব প্রয়োজন। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী দুর্ভাগ্যবশত একটি তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণীপ্রাপ্ত হলেই যে সে এ ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবে এটা সঠিক মাপকাঠি হতে পারে না। এ জন্য এমফিল কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে ‘একাধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য না হলেও একটি তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য’ শর্ত থাকলেও অনেক শিক্ষার্থী এক্ষেত্রে ভর্তির সুযোগ পাবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি একান্তভাবে কাম্য। স্বপন কুমার রায় প্রভাষক, বাগধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, বরিশাল। শাটলের চাকা থমকে আছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। চিরসবুজে ঘেরা ও পাহাড়ের পাদপীঠে নির্মিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যা মন কাড়ে তা হলো স্বপ্নের ট্রেন শাটল। যা এখন বিশ্বের একটি ঐতিহ্য। শাটলে যাতায়ত করার সময় এতে তিল পরিমাণ জায়গাও থাকে না। তারপরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সব ক্লান্তিকে দূর করার জন্য শাটলে গেয়ে যায় আপন মনে গান। আর এই গানে গলা মিলিয়ে সকলেই তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে। এই শাটলে ভ্রমণ যেমন আনন্দের। তেমনি এর প্রতিটি বগির রয়েছে কিছু সুন্দর নামও: ফাটাফাটি, সিএফসি, ভিএক্স, একাকার, সাম্পান, এপিটাফ ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুষ্ঠান হলেই শাটলকে সাজিয়ে তোলেন শিক্ষার্থীরা। শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়টি ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যাতায়তের অন্যতম মাধ্যম হলো এই স্বপ্নের শাটল ট্রেন। প্রতিদিন শহর থেকে ৫-৬ হাজার শিক্ষার্থী এই শাটলে যাতায়ত করে থাকে। কিন্তু চট্টগ্রাম রেল কর্তৃপক্ষ রেলস্টেশন ইয়ার্ড রি-মডেলিং প্রকল্পের কাজের জন্য গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বটতলীর পরিবর্তে ষোলশহর স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। বটতলী থেকে নিয়মিত বাস ও পাওয়া যায় না। ফলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে আসতে পারছে না। এজন্য নিয়মিত পড়াশোনার ব্যাঘাত হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাস্তার কাজ চলছে, তাই শাটল বটতলী পর্যন্ত যেতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একই লাইনে বটতলী টু নাজীরহাটের ট্রেন যদি চলাচল করতে পারে নিয়মিত। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নের শাটল কেন চলতে পারবে না বটতলী পর্যন্ত? এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি, খুব দ্রুত বটতলী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শাটল ট্রেন চালু আবার শুরু করা হোক। এ ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি। মাহবুবুর রহমান সধযধনঁনপঁ৮৩@মসধরষ.পড়স চাই নিরাপদ সড়কে স্বপ্নিল যাতায়াত সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের মিছিল প্রতিদিনই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ঘর হতে সুস্থ সবল লোকটি বেরোলেন, আর ফিরলেন ‘ক্ষতবিক্ষত লাশ’ কিংবা ‘চিরদিনের জন্য পঙ্গু’ হয়ে। পঙ্গু লোক পরিবারের জন্য ভয়াবহ এক বোঝা হিসেবে পরিগণিত হয়। এই ঘটনা প্রতিদিনই ‘মহাসমারোহে’ ঘটছে দেশের কোথাও না কোথাও। যার বদৌলতে সংবাদপত্রগুলোর প্রতিদিনের ‘নিয়মিত’ আয়োজনে পরিণত হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনার খবর। সরকার সংশ্লিষ্টরা সড়ক দুর্ঘটনা নামক মহামারী থেকে দেশ ও জাতিকে সুরক্ষার উদ্যোগ নিতে ‘অমার্জনীয় নির্লিপ্ত’ এবং ভয়ঙ্কর উদাসীন!’ যার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার অভিশাপ নিরীহ দেশবাসীর পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত, তা অনেক বোদ্ধা এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি নিজের মতো করে গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশ করছেন, কিন্তু এর ভয়াল থাবা থেকে রেহাই মিলছে না কোনভাবেই। কারণ, যারা এ বিশেষ পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করে সড়ককে স্বপ্নীল যাতায়াতের উপযোগী বানাবেন, তাদের তো কোন গরজ নেই! কেননা তারা দুর্ঘটনায় পতিত হয় না। সড়ক দুর্ঘটনার করাল গ্রাস যদি তাদের কোন স্বজন-প্রিয়জনকে গিলে খেত কিংবা কেড়ে নিতো, তাহলেই তাদের টনক নড়তো। এই মরণ ছোবল থেকে সুরক্ষায় তারা অস্থির ও গলদঘর্ম হয়ে পড়তো তখন। দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য ‘নিরাপদ সড়কে স্বপ্নিল যাতায়াত’ নিশ্চিত করতে হলে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলনরতদের এ সংক্রান্ত কঠোর আইন প্রণয়ন কিংবা বিদ্যমান ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগের দাবিতে ‘অহেতুক সময় নষ্ট’ না করে সকল স্তরের মানুষকে সাধারণ পরিবহনে যাতায়াতে বাধ্য করার সুদূর প্রসারি এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনায় আগুয়ান হতে হবে। সরকারী ব্যক্তিত্ব, পদস্থ কর্মকর্তা ও ক্ষমতাবানরা সাধারণ পরিবহনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যাতায়াত করলে অন্য দশজন মানুষের মতো তারাও অনুধাবন করতে পারবেন, সড়ক দুর্ঘটনার হাজারটি কারণ ও প্রতিরোধের কার্যকর উপায়। তাহলে ট্রাফিক আইন পালনে চালক-শ্রমিকরা যেমন সজাগ ও সতর্ক হয়ে যাবে, তেমনি ট্রাফিক পুলিশরা সার্বিক দুর্নীতি পরিহার করে ট্রাফিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আপোষহীনতা প্রদর্শনে বাধ্য হবে। ট্রাফিক আইনের সংস্কার এবং তা পালনে মালিক-শ্রমিকরা শ্রদ্ধাশীল থাকলে আর যথাযথ শাস্তি বিধানে ট্রাফিক পুলিশরা নিজ দায়িত্বে আপোষহীনতা প্রদর্শন করলে সড়ক দুর্ঘটনা ম্যাজিকের মতোই দূরীভূত হয়ে যাবে। মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্ চট্টগ্রাম।
×