ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটা সৈকতে পচা মাছের গন্ধে টেকা দায়

প্রকাশিত: ০৩:১২, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪

কুয়াকাটা সৈকতে  পচা মাছের গন্ধে  টেকা দায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২১ ডিসেম্বর ॥ কুয়াকাটা সৈকতের বেলাভূমে পচা মাছের উৎকট গন্ধে পর্যটক-দর্শনার্থীর ভোগান্তির শেষ নেই। নির্বিঘেœ সৈকতে বেড়ানো, একটু নির্মল বাতাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়া; এসব সুযোগ থাকছে না। বীচের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র দু’শো গজ পশ্চিম দিকেই এ দুরবস্থার দৃশ্য। কারেন্ট জালে শিকার করা মণকে মণ মাছ ডিঙি নৌকাসহ বীচে জালসহ তোলা হয়। তারপরে নৌকার চারদিকে ১০/১২ জন নারী-পুরুষ-শিশু শ্রমিক জাল থেকে মাছ ছাড়ানোর কাজ করছে। জালে বেশি পেঁচানো বিপুল পরিমাণ মাছ আর ছাড়ানো হয় না। জালসহ বীচে ফেলে রাখা হয়। পচে-গলে, কাকে-কুকুরে খেয়ে সাবাড় করলে আবার জাল নিয়ে সাগরে নামেন জেলেরা। এমনকি জালে আটকা মাছসহ জাল আবার লোকচক্ষু এড়ানোর জন্য বালি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। ফলে ওই এলাকায় উৎকট গন্ধ ছড়ায়। পর্যটক-দর্শনার্থীরা পড়েন চরম অস্বস্তিকর পরিবেশে। অনেকে বমি করে দেয়। দিনে রাতে সমানে চলছে এমন মাছ শিকার, ছড়ানো ও ফেলে রাখার কাজ। সৈকত লাগোয়া অগভীর সমুদ্রে এখন কারেন্ট জাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাদা মাছ শিকারের তা-ব চলছে। আর এসব মাছ জাল থেকে ছাড়ানোর কাজ পর্যটক-দর্শনার্থীর বীচ ভ্রমণের অন্তরায় হয়ে পড়েছে। কারণ প্রত্যেকটি জালে আটকে থাকা প্রচুর মাছ বীচে জালসহ ফেলে রাখায় পচে-গলে একাকার হয়ে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কিংবা কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যা নিরসনের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটক-দর্শনার্থীর ভোগান্তির শেষ নেই। পরিচ্ছন্ন সৈকত হিসাবে কুয়াকাটার আলাদা সুনাম রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারী প্রশাসন, পৌর পরিষদ কিংবা কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কোন ভূমিকা নেই। ইতোপূর্বে ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বীচে ফেলা ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের পলিথিন অপসারণের কাজ শুরু করে। বর্তমানে তাও প্রায় বন্ধ।
×