ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেগ্রের বাংলাদেশ সফরে কি পেল হকি?

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

নেগ্রের বাংলাদেশ সফরে কি পেল হকি?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাঁচ দিনের সফর শেষে চলে গেছেন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সভাপতি লিয়েন্দ্রো নেগ্রে। যাওয়ার আগে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের নীল টার্ফ ও বিএএফ শাহীন স্কুল মাঠে স্যান্ড টার্ফের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এছাড়া জাতীয় স্কুল হকি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। যাওয়ার আগে জানান, এশিয়ান ও ইউরোপিয়ান হকির পার্থক্য আসলে কোথায়, ‘এশিয়ান ও ইউরোপিয়ান হকির পার্থক্য অনেক। এশিয়ান হকি মূলত টেকনিক্যাল, স্কিল ও ড্রিবলিংনির্ভর। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান হকির ক্ষেত্রে শারীরিক দক্ষতা ও গতির প্রদর্শনী বেশি। এশিয়ার হয়ে ভারত-পাকিস্তান এক সময় বিশ্ব হকি অঙ্গনে রাজত্ব করলেও এখন তা আর নেই। সবক্ষেত্রেই আমি নিজে দেখেছি ইউরোপিয়ানরা আধুনিক হকিতে এগিয়ে গেছে। এটা শুধু আমি স্প্যানিশ বা ইউরোপিয়ান বলে বলছি না।’ বিশ্ব হকিতে বাংলাদেশকে নিয়েও নেগ্রের প্রত্যাশা অনেক, ‘আসলে এই উপমহাদেশে ভারত, পাকিস্তানের পর বাংলাদেশকেই আমার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে মনে হয়। কেন জানি আমার বিশ্বাসÑ এক সময় জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার শক্তিধর দেশের মতো খেলবে তারা।’ প্রত্যাশার সঙ্গে বাংলাদেশের হকির উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিরও কমতি নেই নেগ্রের কণ্ঠে, ‘আমরা বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। এই যে নীল টার্ফ, স্কুল হকির জন্য টার্ফ দেয়াÑ এগুলো তারই প্রমাণ। আমরা ফ্লাডলাইটের ক্ষেত্রেও সব রকম সুবিধা দেব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’ এদেশকে ভালবেসে নিজের ‘দ্বিতীয় ঘর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আবারও এদেশে আসার আশ্বাস দেন বিশ্ব হকির নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই বস। নেগ্রে এ নিয়ে তৃতীয়বাবের মতো বাংলাদেশ সফরে আসলেন। তাঁর আসা মানেই হকিতে নতুন কোন চমক। প্রথম সফরে ঢাকা এসেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন তিন জাতি হকি টুর্নামেন্টের। কিন্তু এখনও আলোর মুখ দেখেনি এই টুর্নামেন্টটি। তবে নেগ্রে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপার আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলাদেশের হকির অগ্রযাত্রা নিয়ে বেশ খুশি নেগ্রে, ‘বাংলাদেশের হকি এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা গর্ব করার মতো। ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে অনেক বড় অবস্থানে যাবে দলটি।’
×