ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরগুনায় ঘরে ঘরে পিঠা পায়েসের ধুম

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

বরগুনায় ঘরে ঘরে পিঠা পায়েসের ধুম

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ২০ডিসেম্বর ॥ বরগুনায় আমনের বাম্পার ফলনে নবান্নের পিঠা-পায়েস তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গৃহিণীরা। জেলায় চলতি মৌসুমে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উঁচু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। চলছে ধান মাড়াই। ঘরে ঘরে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে কৃষকের উঠোন। নবান্নের উৎসব চলছে গ্রামীণ জনপদের প্রতিটি ঘরে। পিঠা পায়েসের ধুম পড়েছে কৃষক পরিবারে। অন্যদিকে ধান মাড়াই কাজে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণী। চলতি মৌসুমে জেলায় আমনের বাম্পার ফলন হলেও বেড়িবাঁধ না থাকায় ক্ষেতে লবণপানি ঢোকায় কৃষকের মাঝে কৃষি কাজের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বরগুনা জেলায় উচ্চ ফলনশীল জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় জাতের ৭২ হাজার ৫ শ’ ৯০ হেক্টর জমিসহ মোট এক লাখ এক শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮শ’ ৯৭ মে.টন। এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি বিভাগের ধারণা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, সময়মতো সার-ওষুধের যোগান, বালাই দমনের ফলে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বেড়িবাঁধ না থাকায় ক্ষেতে লবণপানি ঢুকে এখানকার কৃষকের উৎপাদিত রবিশস্য নষ্ট করে দেয়। ফলে এখানকার কৃষক ধান চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বরিশালে এক পরিবারের পাঁচ জনকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার গৌরনদী উপজেলার উত্তর সরিকল গ্রামের এক ব্যবসায়ীর পরিবারের ৫ জনকে শুক্রবার রাতে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। গুরুতর আহত ৫ জনকেই শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম জানান, ওই গ্রামের ব্যবসায়ী লতিফ সরদারের ঘরের রাতের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে রাখে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা। রাতে পরিবারের ৫ সদস্য খাবার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সুযোগে রাত ১২টার দিকে দুষ্কৃতকারীরা ওই ঘর থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নেয়ার সময় বাড়ির লোকজনে টের পেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করে। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে এলাকাবাসী শহীদ মোল্লা নামের একজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। শহীদ পার্শ্ববর্তী শোলক গ্রামের তাহের মোল্লার পুত্র। এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহকর্তা লতিফ সরদার (৬৫), বাবুল সরদার (৩২), জাকির হোসেন (২৪), কলি বেগম (২৮), হৃদয়কে (৮) প্রথমে গৌরনদী ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
×