ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুর সদর থানায় জিডি করতে গেলে হয়রানি

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

মাদারীপুর সদর থানায় জিডি করতে গেলে হয়রানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২০ ডিসেম্বর ॥ সদর থানায় জিডি করার নামে চলে হয়রানি। একের পর এক প্রশ্ন করে জিডি আবেদনকারীকে সমস্যায় ফেলে দেন ডিউটি অফিসার। থানায় বসিয়ে রাখেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। জেলার পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করার পরে মুক্তি মিলে। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে মাদারীপুর সরকারী নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের এক পরীক্ষর্র্থীকে সদর থানায় দেড় ঘণ্টা আটকে রাখেন ডিউটি অফিসার এএসআই কাজী সোহেল। কেননা, ওই সময় তিনি ডিউটিতে থাকা অবস্থায় ঘুমাচ্ছিলেন। তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জিডি করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় জিডি আবেদনকারীকে। দেড় ঘণ্টা পরে অনেক বিতর্কের পর জিডি অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিউটি অফিসার এএসআই কাজী সোহেল বলেন, এসব বিষয় এসপি স্যারকে অবহিত করে কোন লাভ নেই, পুলিশ তো পুলিশেরই সাফাই গাইবে। আমি তো তার কাছে কোন টাকা চাইনি, কোন ঘুষ চাইনি। সে এত বড় ক্ষমতাশালী হয়ে গেছে, এসপি স্যারের কাছে ফোন দেয়। এসপি স্যারের কাছে বললেই কি জিডি হয়ে যাবে? প্রয়োজনে চাকরিই করব না। আমার একটা পার্সোনালিটি আছে না ? সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, জিডি করতে গেলে সাধারণভাবে অভিযোগ করলে ৫ মিনিটের মধ্যে জিডি করে দেবার কথা। এক্ষেত্রে কোন সাক্ষী-প্রমান লাগে না। বিষয়টি দেখছি। মাদারীপুরের পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, কোন কিছু হারিয়ে গেলে জিডি করতে পারে সবাই। দলিলপত্র হারানোর ক্ষেত্রে কিছু জানার থাকে, অন্য কিছু হারিয়ে গেলে তেমন কিছু প্রয়োজন পড়ে না। আর সাক্ষী- প্রমাণের তো প্রশ্নই ওঠে না। ওই ডিউটি অফিসারের বিরুদ্ধে এসব বিষয়ে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নওগাঁয় প্রতিপক্ষের মারপিটে যুবক নিহত জমি নিয়ে বিরোধ নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২০ ডিসেম্বর ॥ মাত্র ১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিটে শনিবার বেলা ১১ টার দিকে নওগাঁর রানীনগরে গোলাম রব্বানি বাবু (৪০) নামে একব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহতের পারিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর সোনারপাড়া গ্রামের মৃত-কায়সার প্রামানিকের ছেলে গোলাম রব্বানির সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের রহমত আলীর ছেলে রিটু (৪২), মিছিল (৪০),ফিরোজ (২৮),মনির (২৫) ও মিরু (২২) গোলাম রব্বানি বাবুকে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে। এতে বাবু ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে রানীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বাবুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। শনিবার তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে বেলা ১১টায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
×