ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দর্শক ফেরানোর চেষ্টা বাফুফের

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

দর্শক ফেরানোর  চেষ্টা বাফুফের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাঠের প্রাণ হচ্ছে দর্শক। আর সেই দর্শকই যদি মাঠে না আসে, তাহলে যত ভাল বা আকর্ষণীয় খেলাই হোক না কেন, তা হয়ে ওঠে নীরস, প্রাণহীন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেরও ছিল সেই দশা। তবে বৃহস্পতিবার দেখা গেছে এর ব্যতিক্রম চিত্র। দর্শক খরায় আক্রান্ত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পরিলক্ষিত হয়েছে রীতিমতো দর্শক-জোয়ার! সংখ্যাটা ছিল কপালে চোখ ওঠার মতোÑ ২০ হাজার! দর্শক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফেরানোর চেষ্টায় সফল হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দর্শক উপস্থিতির ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার ছিল যেন ‘বৃহস্পতি তুঙ্গে!’ জাপান অনুর্ধ-২১ জাতীয় দলের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচকে ঘিরে দর্শকের ঢল নেমেছিল রাজধানীতে। এমনকি ঢাকার বাইরে থেকেও দল বেঁধে হাজির হনে অগুণিত ফুটবলপ্রেমী। গত কয়েক বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতি ছিল এদিন। বাংলাদেশ দল না জিতলেও সমর্থনে ফুটবলের জাগরণ তৈরি করেছেন লাল-সবুজের সমর্থকরা। সিলেট, যশোর ও রাজশাহীর পর ফুটবলকে ভুলে যায়নি রাজধানীবাসী- তা প্রমাণ করতেই যেন ফুটবলপ্রেমীদের এই ঢল। রাত জেগে বিদেশী লীগের খেলা দেখে যে প্রজন্ম, তাদের সংখ্যাই বেশি ছিল দর্শকসারিতে। ফুটবলের হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে দর্শক সবার আগে প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। দর্শকদের ভিড়ে শুধু বাংলাদেশী নয়, দেখা মেল নানা কাজে বাংলাদেশে থাকা জাপানী তরুণ-তরুণীরও। বৃহস্পতিবার ২৫ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিণত হয়েছিল এক জনসমুদ্রে। কর্মব্যস্ত এই ঢাকায় একমুহূর্ত সময় নেই মানুষের। কিন্তু নাড়ির টান বলে কথা। পড়ন্ত বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সমবেত হয় প্রায় ২০ হাজার মানুষ, উপভোগ করে বাংলাদেশ-জাপান প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি। খালি হাতে আসেনি তারা, জাতীয় পতাকা হাতে বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয়ের স্বপ্ন বুকে লালন করেই মাঠে পা দেয় তারা। সঙ্গে ছিল ঢোল, কাসা ও ভুভুজেলা। গ্যালারির পূর্ব-পশ্চিম ও ভিআইপি আসন ছিল পরিপূর্ণ। বাফুফের দর্শকদের মাঠে আনার চেষ্টা সফল হওয়ার পেছনে অবশ্য আরেকটা কারণ উল্লেখ করা যায়। সেটা হলো ম্যাচের টিকেট কিনলে ১টি বাফুফে লটারি টিকেট ফ্রি- এমন ঘোষণা দেয়ায়।
×