ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া ॥ প্রযুক্তি ও ভাষার ব্যবহার

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া ॥ প্রযুক্তি ও ভাষার ব্যবহার

আধুনিক বিশ্বে বিশ্বায়ন বহুল আলোচিত একটি বিষয়। বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক সাহায্য-সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া শুরু হলেও দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ধনী রাষ্ট্রগুলো এর সিংহভাগ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। অবাধ নীতির কারণে পুঁজিবাদের প্রসার যে ভাবে ঘটছে তাতে বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলো এর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটছে। বলা যায়, বিশ্বায়ন বর্তমানে সুদৃঢ় প্রযুক্তিগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যের বৈদ্যুতিক স্থানান্তর বর্তমানে তাৎক্ষণিক ও পরস্পর সংযুক্ত তথ্যজগত সৃষ্টি করছে, যা ২৪ ঘণ্টাব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যের যোগাযোগে পরিণত হয়েছে। এ প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করছে ব্যাংকিং এবং অর্থনৈতিক কার্যাবলী। এর সুফল কিছুটা দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো পেলেও এর প্রকৃত সুবিধা ভোগ করছে উন্নত রাষ্ট্রগুলো। কারণ এখানেও উন্নত রাষ্ট্রগুলো মূল নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে। উন্নত রাষ্ট্রগুলো দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তির উপাদান বিক্রি করে পুঁজির প্রসার ঘটাচ্ছে। আর দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো উন্নত রাষ্ট্রের সঙ্গে তালমিলাতে বা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে গিয়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে বা পড়তে বাধ্য হচ্ছে। প্রয়োজনের তাগিদে হোক আর প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হোক, দরিদ্র বা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে ধনীরাষ্ট্রগুলোর শর্ত মেনে নিতে হচ্ছে। তা না হলে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিতই থেকে যাবে। বিশ্বব্যাপী অর্থ প্রেরণ এবং ব্যবসায়ী লেনদেন কম্পিউটারের মাউসে চাপের ব্যাপার মাত্র। প্রতি ছয় ডলারের পাঁচ ডলারই যা বিশ্ব অর্থনীতিতে সঞ্চায়ন করে বা বৈদ্যুতিক মাধ্যমে ভ্রমণ করে থাকে। সফটওয়ার ও টিভি প্রোগ্রামের মতো কতকগুলো পণ্য সহজেই প্রেরিত হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমেই। ইলেকট্রনিক পর্দার মাধ্যমে আমরা এখন পণ্যের বেচাকেনা করতে পারি। আর এভাবেই কম্পিউটার আজকের বিশ্বে পরিবর্তন এনেছে। তাই বলা যায়, বিশ্বায়ন আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ওপর পুরোপুরি নির্ভর। উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির কারণে বিশ্বায়নের দ্রুত প্রকাশ ঘটছে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির কারণেই বিশ্বের যে কোন স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে আমরা অবগত হতে পারি। বিশ্বায়নের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা পেতে ধনী রাষ্ট্রকে দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সঙ্গে নিঃস্বার্থে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিশ্বায়নের সুফল যাতে সবাই সমানভাবে ভোগ করতে পারেন সে দিকে সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে। তবেই বিশ্বের সকল মানুষ বিশ্বয়নের মাধ্যমে সুখ ও সমৃদ্ধির সুফল পাবে। এমএ হামিদ খান ঢ়ৎড়ভ.স.যশযধহ@ মসধরষ.পড়স পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান এবং তাদের অনুসারী জ্ঞানপাপীদের মিথ্যাচার আর অপপ্রচারে বিভ্রান্ত দেশের কিছু সাধারণ মানুষ। দিকভ্রান্ত বর্তমান তরুণ সমাজের একাংশ স্বাধীনতার ৪৩ বছরে এসেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটুক্তি করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকা-ের দিনে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে ভুয়া জন্মদিনের দানবীয় উৎসব করে। অথচ একটি জাতির চরম চাওয়ার পরম পাওয়া হচ্ছে সে দেশের স্বাধীনতা। আর স্বাধীনতার জনক হোন সে দেশের সকলের শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বাধীন জাতিকে পছন্দ করেন। অথচ দেশের কিছু অর্বাচিন ব্যক্তি এবং তাদের অনুসারীরা আজও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং এর বিরোধিতাকারী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলছে নিরন্তর। এরা স্বাধীনতা পক্ষের কোন কিছুকেই ভাল চোখে দেখে না। সব কাজেরই ছিদ্র অনে¦ষণ করে বেড়ায়। পরাজিত শক্তির পদলেহনে তুষ্ট হয়। রাজনীতিতে অপরিপক্ব অর্ধশিক্ষিত নীতি ও আদর্শ বিবর্জিত দুর্নীতিবাজ অর্থ পাচারকারীকে নেতা মেনে তার পেছনে ছুটছে। তার বিকৃত মানসিকতার মিথ্যাচারের আস্ফালনে বাহবা দিচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে আবার ক্ষমতার মসনদে বসার। অথচ এদের কারণেই বারো আওলিয়ার পুণ্য ভূমিতে ধর্মীয় শান্তি আর সম্প্রীতির দেশে জঙ্গীবাদ আর মৌলবাদীর সৃষ্টি হয়। আশংকা জাগে এদের হাতে আবার পড়লে দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ। মোঃ ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। প্রকৃতির রূপসী কন্যা... বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানেই একমাত্র ছয়টি ঋতুর আবির্ভাব ঘটে। যা পৃথিবীর অন্য কোন দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় না। গ্রীষ্মের ফল, আর বর্ষায় ঝড়ে শ্রাবণ মেঘের অঝোর ধারা। ঋতুরাজ বসন্তে কোকিলের ডাক আর শরতে কাশফুলের শুভ্রতা। আর হেমন্তকালে ফসলের সবুজ মাঠ সোনালি ধারণ করে এবং ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুর ফোটাতেই শীতের আগমন ঘটতে থাকে। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, যেখানে সূর্যের দেখা পাওয়া খুবই দায়। শীতের মৌসুমে উত্তরবঙ্গে তার প্রকোপটা বেশি পরিলক্ষিত হয়। ধূলিময় রাস্তায় গাড়িয়াল বহুদূর পথ হাঁকিয়ে যে ক্লান্ত অনুভব করে এটাও শীতের এক অনন্য সাক্ষীর ভার বহন করে। প্রকৃতির এ রূপ বাংলার নদী, গিরি, ভূমি দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করে। কবিগান আর পালাগানের মাঝেই আমরা খুঁজে পাই বাঙালিয়ানা। দেওয়ান ফাহিম ফয়সাল সখীপুর, টাঙ্গাইল। কীটনাশক নিমতেল বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিতে দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক সার ব্যবহার করার কারণে মাটি উর্বরতা হারাচ্ছে এবং অধিকপুষ্টিযুক্ত ফসল পাওয়া যায় না। আমরা প্রতিনিয়ত রাসায়নিক সারের সঙ্গে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করি। ক’দিন আগে প্রধাণন্ত্রী কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারের প্রতি কিষৃকদের সচেতন হতে বলেছেন। প্রধাণমন্ত্রীর এই কথাটি অবশ্যই প্রনিধানযোগ্য। ফসলের কীটনাশক ও জমির উর্বরতা বাড়াতে নিমতেলের কোন বিকল্প নেই। এতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পাওয়া যায়। জৈব কীটনাশক নিমতেল প্রয়োগের ফলে উৎপাদন বাড়ে ফসল ও শাক-সবজির। শহর ও গ্রামাঞ্চলে প্রচুর নিমগাছ দেখা যায়। যে প্রক্রিয়ায় নিমতেল প্রস্তুত হয় তা জেনে এ দেশেও তা তৈরি করা হলে রাসায়নিক কীটনাশক আমদানি অনেক কমে যেত। এতে করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও বাঁচত। পাশাপাশি রাসায়নিক কীটনাশক বিষের ব্যবহারে পরিবেশ বিষাক্ত হওয়ার কবল থেকে দেশের মানুষ এবং পরিবেশ মুক্তি পেত। রাসায়নিক বিষ বিভিন্ন জলাশয়ের পানিতে মিশে মাছের যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তা থেকেও পরিত্রাণ মিলত। মাছের উৎপাদন পরিমাণও বাড়ত। পশু-পাখি বিষের কবল থেকে রক্ষা পেত। নিমতেল তৈরিতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হতো। নিমের চাষ বাড়লে অনেক কাঠও পাওয়া যায়। তাতে জ্বালানির পরিমাণ বাড়তো। নিমতেল তৈরির পর নিমের যে খৈল পাওয়া যায় তা জমিতে ব্যবহার করলে জমির উর্বরশক্তি বাড়ে এবং পরিবেশ বাঁচে। দেশের কৃষি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে তৎপর হবেন -এমন আশা করছি। অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া।
×