ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওবামার নয়া কিউবা নীতি ঠেকাতে বিরোধীদের হুমকি

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

ওবামার নয়া কিউবা নীতি ঠেকাতে  বিরোধীদের হুমকি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নতুন কিউবা নীতির বিরোধিতা যারা করছেন তারা দেশটির সঙ্গে ৫০ বছরের শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে পুনর্স্থাপনের প্রচেষ্টা রুখে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত সিনেটর মার্কো রুবিও বলেছেন, কিউবায় যেকোন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় তারা বিরোধিতা করে যাবেন। খবর বিবিসি ও সিএনএন অনলাইনের। কিউবাবিরোধী অপর একজন মার্কিন আইন প্রণেতা বলেছেন, কংগ্রেসের উচিত হবে কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের যে কোন প্রচেষ্টায় অর্থ বরাদ্দকরণ না করা। ১৯৬০ এর দশক থেকে দেশ দুটোর মধ্যে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। কূটনীতির ক্ষেত্রে কিউবাকে দূরে সরিয়ে রাখার এই নীতি ব্যর্থ হয়েছে বলে ওবামা এর আগে মন্তব্য করেনে। তিনি বুধবার বলেন, এখন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় এসেছে। সদ্য সম্পাদিত কিউবা-মার্কিন সমঝোতা অনুসারে কিউবার হাতে আটক দুই মার্কিনী ছাড়া পেয়েছেন, যাদের একজন ঠিকাদার ও অপরজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। অন্যদিকে মার্কিন কারাগারে ১৫ বছর আটক থাকা তিন কিউবান মুক্তি পেয়েছেন। বিবিসির স্প্যানিশ বিভাগের টমাস স্প্যারো বলছেন, বিষয়টি কৌতূহলোদ্দীপক যে, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বসবাসরত কিউবান আমেরিকানরা যেখানে কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পক্ষে সেখানে ওয়াশিংটনের কিউবান আমেরিকান আইন প্রণেতারা উচ্চকণ্ঠে এর বিরোধিতা করছেন। নিউজার্সি অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক দলীয় সিনেটর রবার্ট মেনেন্ডেজ এবং ফ্লোরিডার রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর মার্কো রুবিও সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খুবই জোর গলায় । তারা দুজনেই ওবামার বুধবারের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। রুবিও বলেছেন, সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে শতকরা ৯৯ শতাংশ ভোটও যদি পড়ে তবু আমি নিজের অবস্থান বদলাব না। তিনি বলেন, হাভানাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হলে কারাকাস থেকে তেহরান ও পিয়ংইয়ং পর্যন্ত সব সরকারই একই রকম প্রত্যাশা করতে পারে। অন্যদিকে মেনেন্ডেজ বলেছেন, তিনি ওবামার প্রশাসনের এই উদ্যোগে গভীরভাবে হতাশ। তিনি বলেন, মার্কিন সরকার সহযোগিতার হাত বাড়ালেই কিউবাও সংস্কারের পথে আগাবে এ রকম আশা করা ঠিক নয়। বিশেষ করে ক্যাস্ট্রোর ভাই যখন ক্ষমতায় আছেন। নির্বাসিত কিউবানদের ঐতিহ্যবাহী ঠিকানা হিসাবে ফ্লোরিডার পরিচিতি এক সময় ছিল, কিন্তু এখন কিউবা ইস্যুতে ফ্লোরিডার আঞ্চলিক রাজনীতি স্পষ্টত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। কিউবার নতুন প্রজন্ম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এখন আর প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দেখে না। দুই দেশই যখন অতীতের তিক্ততা পেছনে নতুন করে সামনে অগ্রসর হওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে তখন তাতে বাদ সাধতে চলেছেন এই রাজনীতিবিদরা।
×