ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশ্যে ধূমপান

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

প্রকাশ্যে ধূমপান

শাহীন রহমান ॥ রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় তেজগাঁও কলেজের সামনে উঠতি বয়সী ছয় কিশোর আড্ডায় মশগুল। প্রত্যেকের হাতেই একটি করে সিগারেট। একালের ফ্যাশন আর সদ্য ওঠা দাড়ি-গোঁফ মুখম-লে। প্রত্যেকের বয়স ১৫ থেকে ১৭-এর মধ্যে। মাধ্যমিক পাস করে কলেজের গণ্ডিতে প্রবেশ করেছে। কাছে গিয়ে কথা বলতেই সবাই কিছুটা ভড়কে গেল। সদ্য সিগারেট ধরায় নিজের মধ্যে কিছুটা হলেও ভীতি কাজ করে। মনে হয় যেন পরিবারের কেউ দেখে ফেলছে। রনি নামের একজনের কাছে জিজ্ঞেস করতেই বলল, শখের বসে সিগারেট খাই। বিশেষ করে এ বয়সে মেয়েদের প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ কাজ করে। মেয়েদের বিশেষ নজর কাড়তেই এই শখের সিগারেটের মোহ বলে উল্লেখ করেন। প্রকাশ্যে এভাবে সিগরেট খাওয়া আইনে নিষিদ্ধ, জরিমানার বিধান রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সে জানায়-প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের আইন সম্পর্কে তার কিছুই জানা নেই। তাছাড়া কেউ কখনও এ সম্পর্কে সচেতনও করেনি তাদের। টিএসটির কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলের কয়েক ছাত্র। কলাভবনের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র তারা। বিকেলে প্রতিদিন বসে আড্ডা। সিগারেট ছাড়া তাদের আড্ডা জমে না। কাছে গিয়ে পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, প্রকশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ আইন সম্পর্কে তাদের জানা আছে কিনা। রাকিব নামের এক ছাত্র উত্তরে জানায়, প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ জানা আছে। কিন্তু নিষেধটা করবে কে। সবাই প্রকাশ্যে ধূমপান করছে। প্রকাশ্যে ধূমপানের অপরাধে কারও বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আইনের বাস্তবায়ন যখন নেই তখন প্রকাশ্যে ধূমপান করলে সমস্যাই বা কোথায়। দেশে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের মতো কত আইন রয়েছে যা কাজির গরুর কেতাবে থাকার মতো। যে সব আইনের কোন প্রয়োগ নেই। আইন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কোন ধারণা নেই। আবার কিছুটা ধারণা থাকলেও সরকারী পদক্ষেপের অভাবে কেউ আইন মেনে চলে না। শুধু ধূমপান আইন নয়, পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ আইন এমনকি পরিবেশ আইনও এর মধ্যে পড়ে। আইন আছে, আইনের শাস্তির বিধানও রয়েছে। কিন্তু কেউ এসব আইন পরোয়া করে না। এসব আইন ভঙ্গ করলে শাস্তি হতে পারে এমন চিন্তা কেউ করে না। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ ও পরিবেশের ক্ষতিকর বিবেচনায় এসব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব আইন সম্পর্কে দেশের মানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অভাবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে উদাসীন থাকার কারণে আইন সম্পর্কে জনগণ যেমন সচেতন নয় তেমনি এসব আইন মানার প্রবণতা কারও মধ্যে নেই। আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও প্রকাশ্যে চলছে ধূমপান। প্রকাশ্যে ধূমপানের বিরুদ্ধে আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই। আবার আইন মানার প্রবণতা কারও মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করে তৈরি আইন প্রায় ৬ বছর পেরিয়ে গেছে। দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এ সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকেও প্রকাশ্যে ধূমপানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শুধু আইন করেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। ফলে প্রকাশ্যে ফ্রি স্টাইলে চলে ধূমপান। প্রকাশ্যে ধূমপান কেউ আর অপরাধ মনে করে না। আইনে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও তা কৌশলে এখনও অব্যাহত রয়েছে। ছোট ছোট লিফলেট, সিগারেট বিক্রির বক্সের গায়ে সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। সিগারেট কোম্পানি থেকেই এসব বক্স সরবরাহ করা হয়ে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে ধূমপান চলে বেশি। এছাড়া অন্যান্য স্থানেও ধূমপানের প্রবণতা কমবেশি লক্ষ্য করা গেছে। বাসের মধ্যে স্বয়ং চালককে গাড়ি চালানো অবস্থায় ধূমপান করতে দেখা যায় প্রতিনিয়তই। সরকার ২০০৫ সালে প্রকাশ্যে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করে আইন পাস করে। ওই বছরের ১৩ মার্চে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান এবং গণমাধ্যমে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার বিধান সংবলিত একটি আইন সংসদে পাস করা হয়। তখন এ আইনকে স্বাগত জানায় সবাই। কিন্তু আইন পাসের ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আইন সম্পর্কে মানুষের ধারণা আস্তে আস্তে অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে যে সবস্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয় সেসব স্থানের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমানবন্দর, সমুদ্র ও নৌবন্দর ভবন, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরি, প্রেক্ষাগৃহ, আচ্ছাদিত প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটর হল, বিপণি ভবন, পাবলিক টয়লেট, শিশুপার্ক এবং সরকারী গ্যাজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে ঘোষিত যে কোনস্থান। আইনে পাবলিক পরিবহনে সংজ্ঞা নির্ধারণ করে বলা হয়েছে পাবলিক পরিবহন বলতে গাড়ি, বাস, ট্রেন, ট্রাম, জাহাজ, লঞ্চসহ যান্ত্রিক সব ধরনের যানবাহন এবং সরকার ঘোষিত কোন যানবাহনকে বোঝাবে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পাবলিক পরিবহনের মধ্যে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও জাহাজে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। বাসের যাত্রীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা কম হলেও চালক, কন্ডাকটর ও হেলপারা চলন্ত গাড়িতেই ধূমপান করে থাকে। তবে প্রকাশ্যে ধূমপানের প্রবণতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তুলনামূলক বেশি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাই বেশি ধূমপান করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ছাত্রকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, আইনে নিষিদ্ধ হলেও আইন কেউ মানছে না। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোথায় ধূমপান করা যাবে না এমন কোন জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়নি। শুধু টিএসসির ভেতরে এবং লাইব্রেরিতে ধূমপান না করার জন্য বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে। এর বাইরে আর কোন জায়গা চিহ্নিত করা হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে উন্মুক্তস্থানেই চলে ধূমপান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে, হাকিম চত্বর, টিএসটি সড়কদ্বীপ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ও উদ্যানের ভেতরে, কলাভবনসহ প্রত্যেকটা ফ্যাকাল্টির চারদিকে, মহিলা হলের বাইরে চলে প্রকাশে ধূমপান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই এসব স্থানে বসে ধূমপান করে থাকে। প্রকশ্যে ধূমপান চলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজও ধূমপানের আওতামুক্ত নয়। ইডেন কলেজের সামনে রাস্তায় ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে আড্ডা দেয়ার সময় প্রকাশ্যে ধূমপান করে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ ঢাকার প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একই অবস্থা। প্রকাশ্যে ধূমপানের বিরুদ্ধে সরকারী কোন পদক্ষেপ বা অভিযান চালানো না হলেও কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট চত্বরে ধূমপান নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞাপন টনিয়েছে দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের চত্বরে প্রকাশ্যে ধূমপান কেউ করে না। শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরি, জাতীয় জাদুঘর এমনকি এক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া পুরো রমনা উদ্যান সীমানার মধ্যেও ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই এ আইন মানা হয় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরেই বাস টার্মিনালে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। এছাড়া সরকার নিষিদ্ধ স্থানের মধ্যে রেলওয়ে স্টেশন, প্রেক্ষগৃহ ও পার্কের ভেতরে ধূমপানের প্রবণতা। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে প্রকাশ্যেই চলে ধূমপান। এসব স্থানে ভ্রাম্যমাণ যেসব দোকানপাট রয়েছে সেগুলো মূলত সিগারেটকেন্দ্রিক। সিগারেট বিক্রেতা ফেরি করে সিগারেট বিক্রি করে। বাসটার্মিনালে পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ড্রাইভার, কর্মচারীরা বেশি পরিমাণে ধূমপান করে থাকে। পাশাপাশি বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও প্রকাশ্যে ধূমপান করে থাকে। পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ আইন॥ ধূমপান নিষিদ্ধের মতোই এটা এমন একটি আইন যা কেউ মেনে চলে বলে মনে হয় না। খোদ রাজধানী শহরে প্রতিদিন এক কোটির বেশি পলিথিনের ব্যবহার রয়েছে। পরিবেশ সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ঢাকায় প্রতিদিন ২০ লাখ পরিবার বাজারের সময় একসঙ্গে ৪ থেকে ৫টি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করছে। তাদের এ হিসেবে এক কোটি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো একবার ব্যবহার করেই ফেলে দেয়া হচ্ছে; যা দ্বারা ড্রেন, নালা, খাল, ডোবা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিন অপচনশীল বলে দীর্ঘদিন প্রকৃতিতে অবিকৃত অবস্থায় থেকে মাটিতে সূর্যালোক, পানি এবং অন্যান্য উপাদান প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করে; যা পরিবেশে জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পরিবেশে এই ক্ষতিকর বিবেচনায় সরকার ২০০২ সালে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণের ওপর আইন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ আইন দেশের জনগণ সানন্দে গ্রহণ করে। বর্তমানে আইনটিও অকার্যকর একটি আইনে পরিণত হয়েছে। পলিথিনের ব্যবহার সাম্প্রতিক আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লি সংস্থার কোন কার্যকর তৎপরতা এবং মনিটরিং না থাকায় নিষিদ্ধ পলিথিনে বাজার সয়লাব। একই সঙ্গে রয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলাও। অথচ সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ৬ক ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার সকল প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি অন্য কোন সামগ্রী পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হলে, এরূপ সামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজিক উদ্দেশে পরিবহন বা বাণিজিক উদ্দেশে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। এ আইন অনুযায়ী পলিথিনের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণের প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক দুই বছর কারাদ- বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয়দ-, পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন দুই বছর, অনধিক দশ বছর কারাদ- বা অন্যূন দুই লাখ টাকা, অনধিক দশ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ- এবং বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজিক উদ্দেশে পরিবহন বা বাণিজিক উদ্দেশে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনধিক এক বছর কারাদ- বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে পলিথিন ও পলিথিনজাত দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাপক ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। পরিবেশ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। শুধু পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ আইন নয়, শিল্প দূষণ, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের মতো যেসব ক্ষতিকর বিষয় রয়েছে সেসব বিষয়ও দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে পরিবেশ অধিদফতরের ওপর। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় লোকের অভাবে এসব বিষয় জরিপ করে ব্যবস্থ নেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। পরিবেশ সংগঠন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, দেশে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য আইন রয়েছে। সরকার যদি পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে পাটের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশের ক্ষতির প্রভাব বিবেচনায় এনে সরবকার পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে আইন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এ আইন বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
×