ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব ॥ দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব ॥ দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা

কাওসার রহমান/বাবুল সরদার ॥ সুন্দরবনে শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কারের তেলের ভয়াবহতা কমে এলেও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নদী ও তার আশপাশের এলাকার খালের প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তেলের বিষক্রিয়ায় শুক্রবার পর্যন্ত দুটি ভোঁদড় মারা গেছে। গায়ে তেলের চিহ্ন মাখা আরও বেশ কিছু প্রাণী বিপর্যস্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে তেলের ট্যাঙ্কার ডুবে যাওয়া সুন্দরবনের ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, শ্যালা নদীর দুই তীরে আলকাতরার মতো ছোপ ছোপ ফার্নেস অয়েল লেগে আছে। গত এক সপ্তাহে দুই তীরের ঘাস, শ্বাসমূল, চারাগাছ ও বড়গাছের ডাল ফার্নেস অয়েলের বিষক্রিয়ায় মরে গেছে। বন বিভাগের নিয়োজিত প্রায় তিন শ’ শ্রমিক এ সকল মরে যাওয়া ঘাস তুলে নিচ্ছে। তবে নদীতে এখন আর কোন তেল ভাসমান নেই। তেল সংগ্রহ অভিযান এখন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন চলছে পরিষ্কারের কাজ। বন বিভাগ বিদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এ পরিষ্কারের কাজ করছে। বিদেশী বিশেষজ্ঞরা ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কারের তেল দ্রুত পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমেরিকা, কানাডা ও ফরাসী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যত দ্রুত তেল পরিষ্কার করা সম্ভব হবে ক্ষতির মাত্রা ততটা কমে আসবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে সি-প্লেনে মংলা যান। সেখান থেকে স্পিডবোটযোগে সুন্দরবনের চাঁদপাই এলাকায় শ্যালা নদীর ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি বন বিভাগের দ্রুত পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কারের তেল নদীর তীরের খুব ভেতরে যায়নি কিংবা বনের ভেতর প্রবেশ করেনি। তবে নদীর দুই তীরে তেল এখনও লেগে আছে এবং এর প্রভাব পড়েছে। তবে ভরা পূর্ণিমার জোয়ারের সময় এ ঘটনা ঘটলে ক্ষতি আরও বেশি হতো। মন্ত্রী বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারত। সংস্থাটি দুই দিন পর এসেছে। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিলে তেল এতদূর ছড়িয়ে পড়ত না। ক্ষতির পরিমাণও কম হতো।’ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘এ ধরনের দুর্যোগ আমাদের দেশে প্রথম। তবে ক্ষয়ক্ষতি খুব গুরুতর নয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তবে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা মাথায় রেখে সরকার কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ট্যাঙ্কার থেকে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস অয়েলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও জলজপ্রাণীর অবশ্যই ক্ষতি হয়েছে। তবে শুরুতে তেল ছড়িয়ে পড়ে সুন্দরবনের যে পরিমাণ জীববৈচিত্র্য ও জলজপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, এখন দেখে মনে হচ্ছে তা অনেক কম হয়েছে। পরিস্থিতি যতটা খারাপ মনে করেছিলাম আসলে ততটা খারাপ নয়। সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করেছে। পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, নদী-খালে তেল ছড়িয়ে পড়ায় শ্যালা নদীর দু’পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছে এখনও তেল লেগে রয়েছে। যেসব গাছের শ^াসমূলে তেল ঢুকে রয়েছে সেসব গাছ আস্তে আস্তে শুকিয়ে মরে যাবে। তবে কিছুদিন গেলে পরে ওসব স্থানে আবার নতুন করে গাছ জন্মাবে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মন্ত্রী সি-প্লেন থেকে মংলা নদীর নারকেলতলা এলাকায় নেমে স্পিডবোটযোগে ট্যাঙ্কারডুবির ঘটনাস্থল শ্যালা নদীর জয়মনি, বাদামতলাসহ অন্তত ১৫ কিলোমিটার এলাকা পরিদর্শন করেন। বিকেলে সুন্দরবন ত্যাগ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন- বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার রাকিবুর রহমান, বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ ইউনুস আলী, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রাইসুল আলম ম-ল, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ, পরিবেশ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, সুন্দরবন খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক কার্ত্তিক চন্দ্র সরকার, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুঃ শুকুর আলী, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা। সুন্দরবনে তেল ছডিয়ে পড়ার পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত এ তদন্ত কমিটির সভাপতি নুরুল করীম বলেন, ‘আমরা সুন্দরবন এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছি। পরিবেশ অধিদফতর বনের পানি পর্যবেক্ষণ করেছে। ডলফিন বিশেষজ্ঞ স্মিথসহ অন্যদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী সুন্দরবনের পানি প্রাণীদের জন্য আশঙ্কামুক্ত।’ তেল অপসারণে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল ॥ সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণে সহায়তার জন্য জাতিসংঘের একটি আগাম বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় পৌঁছেছে। সরকারের আহ্বানে জাতিসংঘের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম শুক্রবার ঢাকায় এসেছে। দলটি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে, দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণের বিষয় পরামর্শ দেবে এবং ঝুঁকি হ্রাসের পদক্ষেপ নেবে। ইউএনডিপির নেতৃত্বে সরকারের প্রতি এই সহায়তায় জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচী (ইউএনইপি), মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কারীর কার্যালয় (ওসিএইচএ), যৌথ পরিবেশ ইউনিট এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য অংশীদার দেশ সমর্থন দিচ্ছে। এছাড়াও আমেকিরা, ফ্রান্স ও কানাডার পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা তেল অপসারণ ও প্রভাব মূল্যায়নে বাংলাদেশকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তারা পৃথকভাবে এ ব্যাপারে সরকারকে সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে জাতিসংঘের আওতায় সাহায্য গ্রহণের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণে অনেক দেশ সহায়তা করতে চেয়েছে। তারা মনে করছে, সাগর-মহাসাগরে যেমন তেলের ট্যাঙ্কারডুবির ঘটনা ঘটে। এখানেও তেমন ঘটনা ঘটেছে। ফলে মন্ত্রণালয় সাহায্য চাওয়ার আগেই তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা সাহায্য করতে চাইবে আমরা তাদের সাহায্য নেব। তবে তাদের জাতিসংঘের মাধ্যমে আসতে হবে। এ কাজে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করছে। আর সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রাইসুল আলম ম-ল জানান, আগাম বিশেষজ্ঞ দলটি দু’এক দিনের মধ্যে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, এ্যাসেসমেন্ট টিম আসবে। তাদের এ্যাসেসমেন্ট ও সুপারিশের ভিত্তিকে সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জাহাজের ফিটনেস সনদ ছিল না ॥ সুন্দরবনে শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার জাহাজডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কাজে হতাশা ব্যক্ত করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুুদ বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণেই ত্রুটিপূর্ণ জাহাজটি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করছিল। জাহাজের কোন ফিটনেস সনদ ছিল না। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, ওই ট্যাঙ্কার ডুবে যাওয়ার পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের এ ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় (তেল অপসারণ) পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। ট্যাঙ্কারটি ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি এর চারপাশে বুম বা ভাসমান ব্যারিকেড তৈরি করা যেত তাহলে তেল এতদূর ছড়াতে পারত না। ট্যাঙ্কার ডুবে যাওয়ার তিন দিন পর বন মন্ত্রণালয় ব্যারিকেড তৈরি করে, যা কার্যত কোন ফল দেয়নি। এ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, শুধু ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কারটিই নয় এমন বহু তেলবাহী ট্যাঙ্কারের বৈধ কাগজপত্র নেই। ত্রুটিপূর্ণ এসব নৌযান চলাচল বন্ধ করতে আমরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি।’ ২০১১ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে তেলবাহী ট্যাঙ্কারসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল’Ñ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছিল- ২০১৪ সালের মধ্যে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ করা হবে।’ কমিটি সুপারিশ করেছে- ‘সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে তেলবাহী ট্যাঙ্কারসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল শীঘ্রই বন্ধ করে মংলা-ঘষিয়াখালি-মোরেলগঞ্জ চ্যানেল পুনর্খনন করে ওই পথে চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক।’ গত ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে সাড়ে তিন লাখ লিটার ফার্নেস অয়েলবাহী ট্যাঙ্কারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে সুন্দরবনের ৩০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে তেল। তবে শ্যালা নদী ও এর আশপাশের নদীতে অক্সিজেনের মাত্রা বর্তমানে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা স্বাভাবিক মাত্রা ৫-এর চেয়ে বেশি। এসব নদীর পানিতে গ্রিজ অয়েলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ব্যবস্থা নেয়া হয়নি জাহাজ মালিকের বিরুদ্ধে ॥ ফিটনেসবিহীন ট্যাঙ্কার দিয়ে তেল পরিবহন ও তা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি ট্যাঙ্কারের মালিকের বিরুদ্ধে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতার কারণে দুই দিন পর মালিক এসে নিরাপদে ট্যাঙ্কার সারিয়ে নিয়ে গেছে। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগে পক্ষ থেকে বিআইডব্লিউটিএকে ঘটনা অবহিত করা হলেও তারা শুরুতে ঘটনা পাত্তা দেয়নি। উল্টো তারা জানিয়ে দেয়, এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে। বিআইডব্লিউটিএ দুই দিন পর ঘটনাস্থলে আসে। ততদিনে তেল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, যা ক্ষতির মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। এ প্রসঙ্গে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, মালিক পক্ষ যথাসময়ে ডুবন্ত ফার্নেস অয়েলবাহী ট্যাঙ্কার সরিয়ে নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে কঠিন সুপারিশ করব, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। তিনি বলেন, ‘ঘটনা খাটো করে দেখার কিছু নেই। ইকোলজিক্যাল ইমপেক্ট পড়বে। আমরা পরিস্থিতি এক বছর পর্যবেক্ষণ করব। দেখব, কি প্রভাব পড়ে, নতুন গাছ জন্মে কিনা?’ ঘাষিয়াখালী চ্যানেলসংলগ্ন ৩২ খাল উদ্ধারে টিম ॥ চিংড়ি ঘের মালিকদের দখলে থাকা মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলের দু’পাশের সব সরকারী রেকর্ডীয় খাল অবমুক্ত করার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকার ৩২টি খালের সিমানা চিহ্নিতকরণের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সার্ভেয়ার, কানুনগো, চেইনম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। এ টিম আগামী ৫ দিনের মধ্যে সকল রেকর্ডীয় খালের বাঁধ অপসারণ ও খাল পুনর্খননে রিপোর্ট করবে। মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলের খননকাজে গতি আনতে বিআইডাব্লিউটিএকে আরও ৬টি ড্রেজার দিয়ে দ্রুত কাজ করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ। তিনি সরেজমিন পরিদর্শনের পর বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বরাবরে এ পত্র প্রেরণ করেছেন। প্রসঙ্গত বাংলাদেশ-ভারত নৌ-বাণিজ্য প্রোটোকলভুক্ত বাগেরহাটের মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে নৌরুট চালু হয়।
×