ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে বেছে নেয়া হচ্ছে শিবির নেতা

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে বেছে নেয়া হচ্ছে শিবির নেতা

রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফলিত গণিত বিভাগে এক শিবির নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী গ্রুপের (সাদা দল) আহ্বায়ক অধ্যাপক শামসুল আলম সরকার বিধিবহির্ভূত বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে তিনি উচ্চ আদালতের আদেশ ভঙ্গ, নম্বরপত্র টেম্পারিং, গবেষণাপত্র জালিয়াতির বিষয় চেপে যাওয়া, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছ থেকে হাতে হাতে নম্বর বাড়িয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন ফন্দিফিকির করছেন। বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফলিত গণিত বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও রাবি শাখা শিবিরের একজন নেতা। তবে তিনি শিবিরের কি পদে আছেন তা জানা যায়নি। জানা যায়, রাবির ফলিত গণিত বিভাগে ২০১০ সালে জুলাইয়ে দুটি প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। তবে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে নাজমুল হুদা নামের একজন প্রার্থী উচ্চ আদালতে দুইবার রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ সময় ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল উচ্চ আদালত। এরপর পূর্বের সিলেকশন বোর্ডের কার্যক্রম নিষ্পত্তি না করেই এ বছরের ১৯ জুলাই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিভাগীয় প্লানিং কমিটি। তবে এ সময় কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবদুল হক এতে আপত্তি জানান। পরে প্লানিং কমিটির সভার কার্যবিবরণী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হলেও আবদুল হকের আপত্তির বিষয়টি সেখান থেকে বাদ দেয়া হয়। এদিকে ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক শামসুল ইসলাম সরকার ও সহযোগী অধ্যাপক শামীমা খাতুন গত ৩ সেপ্টেম্বর এমএসসি-১২ ব্যাচের গবেষণার টেবুলেশন শীট খোলেন। পরে গবেষণার আরেকজন পরীক্ষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে গিয়ে ওই শিবির নেতার নম্বর বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন শামসুল ইসলাম সরকার। ওই শিবির নেতাকে শিক্ষক হিসেবে দেখতে তিনি অনেক আগে থেকেই বিভাগের প্রথম শ্রেণীতে প্রথম করতে নানা তদ্বির করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবদুল হক গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ব্যাপারে জামায়াত ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক নেতা অধ্যাপক শামসুল ইসলাম সরকার বলেন, গবেষণাপত্র জালিয়াতির বিষয়টি সঠিক নয়। আমার বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম অনার্স প্রথমবর্ষ থেকেই বিভাগে প্রথম। আমাকে ও তাকে হয়রানি করার জন্যই বিভাগের কিছু শিক্ষক এসব কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমানুল হক বলেন, ফলিত গণিত বিভাগে টেবুলেশন শীট গোপনে খুলে নম্বর টেম্পারিংয়ের বিষয়ে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক বলেন, আমাদের কাছে ফলিত গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থীর গবেষণাপত্র জালিয়াতির বিষয়টি অভিযোগ আকারে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। প্রমাণ পেলে অবশ্যই দোষীদের শাস্তি হবে বলেও জানান তিনি। সিলেট হেলথ টেকনোলজি বন্ধ ঘোষণা ॥ হল ত্যাগের নির্দেশ স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না এসে সিলেট ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের ও শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হোস্টেল ত্যাগের নিদের্শ দেয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রাবাসের কিছু সমস্যা ও ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির কিছু ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর খারাপ আচরণের বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে যান। তখন অধ্যক্ষ তাদের কথা না শুনে বের করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। অধ্যক্ষ এ বিষয়টি পুলিশকে অবগত করলে শাহপরাণ থানা পুলিশ ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই পরিস্থিতিতে দুপুরে অধ্যক্ষ সিলেট ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্র হোস্টেল ও শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হোস্টেল ত্যাগ করারও নির্দেশ দেন।
×