ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

হকির টার্ফের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন নেগ্রে

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

হকির টার্ফের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন নেগ্রে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিএফ শাহীন কলেজে মাঠে হকি টার্ফের এবং জাতীয় স্কুল হকির উদ্বোধনের পর বাকি ছিল মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে নতুন নীল টার্ফের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা, বৃহস্পতিবার সেটিও করে ফেললেন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সভাপতি লিয়েন্দ্রো নেগ্রে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন্সের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ্, জাতীয় স্কুল হকি কমিটি এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আনভীর আদিল খান ও মর্ডান বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে হকি টার্ফ বসতে যাচ্ছে। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার এবং ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপন করা হয়েছিল টার্ফ। অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়া (ওসিএ) এবং আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ) বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনকে যৌথভাবে এই টার্ফটি দিচ্ছে ২৫ শতাংশ মূল্য হ্রাসে। টার্ফ স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তরের কাজ উদ্বোধন করার পর জাতিতে স্প্যানিশ নেগ্রে বলেন, ‘এই টার্ফ স্থাপনে আশা করি বাংলাদেশের হকির প্রভূত অগ্রগতি হবে। আরও আশা করি এই টার্ফটি তারা ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে সমর্থ হবে। আশা করি ফ্লাডলাইটও তারা স্থাপন করতে পারবে।’ নেগ্রে এ নিয়ে তৃতীয়বাবের মতো বাংলাদেশ সফরে আসলেন। তাঁর আসা মানেই হকিতে নতুন কোন চমক। প্রথম সফরে ঢাকা এসেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন তিন জাতি হকি টুর্নামেন্টের। কিন্তু এখনও আলোর মুখ দেখেনি এই টুর্নামেন্টটি। তবে নেগ্রে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপার আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলাদেশের হকির অগ্রযাত্রা নিয়ে বেশ খুশি নেগ্রে, ‘বাংলাদেশের হকি এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা গর্ব করার মতো। ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে অনেক বড় অবস্থানে যাবে দলটি।’ গত বছর নেগ্রে তিনদিনের ঢাকা সফরে ন্যূনতম মূল্যে টার্ফ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যায় এটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে বিলম্বে হলেও নতুন টার্ফ বুঝে পায় হকি ফেডারেশন। এ টার্ফ আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সবুজ সঙ্কেত পেলেও হকি ফেডারেশন পোহাতে হয় যথেষ্ট নানাবিধ আমলাতান্ত্রিক ঝামেলা। অচিরেই এবার নীল টার্ফে খেলতে দেখা যাবে হকি তারকা চয়ন, মিমো, নান্নুদের। তিন লাখ ডলার মূল্যের আধুনিক টার্ফটির জন্য দেড় লাখ ডলার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ও ৭৫ হাজার ডলার এফআইএইচ দিচ্ছে। বাকি ব্যয় বহন করতে হবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনকে। ৩০ জুনের মধ্যে টার্ফ বসানোর কাজ শুরু না হলে পুরো টাকাই ফেরত যাবে। নীল টার্ফের সুবিধা হচ্ছে- এ টার্ফে বল ভালভাবে দেখা যাবে। দর্শকদেরও দেখতে কোন সমস্যা হবে না। বিশ্বে এখন নীল টার্ফে ও হলুদ বলেই খেলা হচ্ছে।
×